সেক্রেটারি জেনারেলের পদ ছাড়লেন আসাদ, কঠিন পরীক্ষায় ইমরান

কঠিন পরীক্ষায় পড়েছেন ইমরান খান। দলের হেভিওয়েট নেতারা একে একে তাকে ছেড়ে যাচ্ছেন। দলের প্রধান মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী, সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরিন মাজারিসহ দলের কমপক্ষে দুই ডজন সাবেক মন্ত্রী, এমপি ইমরান খানের দল ত্যাগ করেছেন। দলের সেক্রেটারি জেনারেল আসাদ উমর এই পদ ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো অংশ নন তিনি আর। তবে দল থেকে পদত্যাগ করছেন না। তার ভাষায়, ৯ই মের পর বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের নেতৃত্বের যে দায়িত্ব আমার ওপর তা চালিয়ে নেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার নতুন এক সতর্কতা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন বিলম্বিত করলে অপশক্তির উত্থান ঘটবে দেশে। তারা দেশজুড়ে অরাজকতা শুরু করবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন ১৪ই মে করার রায় দিয়েছিল।

তা নিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। এর শুনানি হয় বৃহস্পতিবার। এদিন নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অক্ষমতার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তারা জানায়, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নয়।
ওদিকে জোর গুজব আছে যে, সেনাবাহিনীর চাপে ইমরান খানের দলের নেতারা একে একে পদত্যাগ করছেন। এমন অবস্থায় বুধবার যখন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রধান মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী পদত্যাগের ঘোষণা দেন, তখন ইমরান খান দেশের যে কারো সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেন। তবে তাতে কোনো পক্ষ সায় দিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। এরপরই গভীর রাতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন আসাদ উমর। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যে জন্য আমি (পদ) ছাড়ছি তার একটি কারণ হলো, আমি খুব কথা বলি। যদি পদ ধরে রাখি, তাহলে ব্যক্তিগত বক্তব্য দিতে পারবো না। এর কয়েক ঘন্টা আগে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। তারপরই ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে আদালত তাকে নির্দেশনা দিয়েছে যে, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভের অংশ হবেন না।

৯ই মে দেশজুড়ে সহিংসতার কয়েক ঘন্টা পরেই পিটিআইয়ের অন্য নেতাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আসাদ উমরকে। বৃহস্পতিবার তার গ্রেপ্তারকে বাতিল করে দেয় আদালত। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারক মিয়া গুল হাসান আওরঙ্গজেব পিটিআইয়ের এই নেতাকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ভুলে যেতে বলেন।