মুন্সীগঞ্জে যুবকের মরদেহ নিয়ে হট্টগোল

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় সেন্টু হাওলাদার (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ নিয়ে হট্টগোল দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৭ মে) রাতে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনীর সরস্বতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সেন্টু হাওলাদার উপজেলার পুরা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে সেন্টু হাওলাদার অসুস্থবোধ করেন। এরপর মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপালে নিলে চিকিৎসক সেন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ নিজ গ্রামে নেয়ার পথে শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার বজুযোগিনী এলাকায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটক করে মৃত সেন্টু হাওলাদারের ভাইদের মারধর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান জানান, গ্রামের বাড়ি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পুরা গ্রামে বুধবার রাত ৮টার দিকে জমি নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে সেখানে স্বজনদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরপর সেন্টু হাওলাদার অসুস্থবোধ করেন। তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ নেয়ার পথে তার শ্বশুরালয়ে যাত্রাবিরতি করা হয়। এ সময় সেন্টু হাওলাদারের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মরদেহ নিতে বাধা দেন। এরপর মরদেহের সঙ্গে থাকা তার ভাইদের মারধর করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

ওসি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আর ভাইদের দাবি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেন্টু হাওলাদার মারা গেছেন।

অন্যদিকে স্ত্রীর দাবি সেন্টু হাওলাদারকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান জানান, মরদেহ নিয়ে বজ্রযোগিনী এলাকায় হট্টগোল সৃষ্টি হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই নিয়ে সেন্টু হাওলাদারের বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি টঙ্গীবাড়ি থানাকেও অবহিত করা হয়েছে।