পাকিস্তানকে আবারও বিভক্ত করতে ষড়যন্ত্র সাজাচ্ছে সরকার: ইমরান খান

পাকিস্তানের সরকার দেশটিকে আবারও বিভক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পিটিআই দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান। বুধবার লাহোরে তার জামান পার্ক বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এই অভিযোগ করেন তিনি। সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীকে লেলিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি তারা পাকিস্তানিদের মধ্যেও ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে এই দেশ এখন আবারও বিভক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ডনের খবরে জানানো হয়েছে, নিজের ভাষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) নেতাদের টার্গেট করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, পিডিএম এবং লন্ডনে পলাতক থাকা নওয়াজ শরীফের পাকিস্তানের সংবিধান অপবিত্র করা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হলে কিংবা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নাম খারাপ হলেও তাদের আপত্তি নেই। আমি এক ভয়াবহ স্বপ্ন দেখছি যে, আমাদের দেশ একটি আসন্ন বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমেই এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন সম্ভব। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাতে চাই, এখনই নির্বাচন দিন এবং দেশকে বাঁচান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে তিনি নিজ দেশের সামরিক বাহিনীর পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন দাবি করে ইমরান খান জানান, আর্মির সমালোচনা করাকে আমি আমার সন্তানের সমালোচনা করার সমান মনে করি।

আমি বারবার বলেছি যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে আমি হস্তক্ষেপ পছন্দ করি না। যখন আমার কাছে নিশ্চিত রিপোর্ট ছিল যে, সাবেক সেনা প্রধান আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তখনও আমি হস্তক্ষেপ করিনি। বর্তমান সেনা প্রধানকে কিছু রাজনীতিবিদ বুঝিয়েছেন যে, আমি ক্ষমতায় এলে তাকে ডি-নোটিফাই করে দেব।
ইমরান খান দাবি করেন, লাহোরে সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে হামলার বিষয়টি আগে থেকেই জানতো পাঞ্জাবের কেয়ারটেকার সরকার। আমার কাছে প্রমাণ এসেছে যে, পিটিআই’র সমাবেশের মধ্যে কিছু সশস্ত্র মানুষ যোগ দিয়ে এই দাঙ্গা করেছে। তিনি জানান যে, দেশব্যাপী তার ২৫ কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭০০ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ৭ হাজার ৫০০ জন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারের এমন আচরণের ‘যে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া’ হবে তা দেশের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।