চিরনিদ্রায় শায়িত নায়ক ফারুক

বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি চিত্রনায়ক, মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গতকাল নিজ জন্মস্থান কালীগঞ্জে দখিন সোম টিওরী জামে মসজিদে জানাজা শেষে পাঠানবাড়ী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে ফারুকের মরদেহ বহন করা উড়োজাহাজটি গতকাল সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে ফারুকের মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর উত্তরায় তার নিজের বাসভবনে। সেখান থেকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সেখানে রাখা হয় মরদেহ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সার্বিক ব্যবস্থা করেছে। এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া হয় গার্ড অব অনার। এ সময় প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও ফারুককে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাট্যদল, বিশিষ্ট রাজনীতিক, চলচ্চিত্র তারকা ছাড়াও ভিড় করেন অগণিত সাধারণ মানুষ। এ সময় নায়ক ফারুকের পুত্র রওশন হোসেন পাঠান শরৎ বলেন, আপনারা আমার বাবাকে শেষবারের মতো সম্মান জানাতে এসেছেন।

এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন, তাকে মাফ করে দেবেন। দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। বাদ জোহর প্রয়াত এ কিংবদন্তির মরদেহ নেয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। সেখানে সহকর্মী ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন ফারুককে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখানে জানাজা শেষে তাকে নেয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানেও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর ফারুকের মরদেহ নেয়া হয় তার নির্বাচনী এলাকা গুলশানের আজাদ মসজিদে। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে সন্ধ্যায় তার মরদেহ নেয়া হয় গাজীপুরের কালীগঞ্জের উদ্দেশ্যে। সেখানে গ্রামের বাড়িতেই সমাহিত করা হয় এ কালজয়ী নায়ককে।