চসিকের শিক্ষাখাতের সংস্কারে চাই মেধাভিত্তিক নিয়োগ: মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাখাতে সংস্কারের জন্য  পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র প্রতিমন্ত্রী  বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.রেজাউল করিম চৌধুরী।

মঙ্গলবার সকালে চসিক অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক পরিচালিত তিনটি স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে মেধাবী ব্যক্তিদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে বসাতে হবে এবং তাদের কাজের সুযোগ ও স্বাধীনতা দিতে হবে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর চসিকের বিভিন্ন খাতে লোকসংকটের প্রেক্ষিতে ১৩ জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। এখন বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের ঘাটতির বিষয়টি জানতে পেরে  ৩৭ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

“তবে আমি নিয়োগ দিলেও এসব শিক্ষকের সর্বোচ্চ সেবা পেতে হলে বিদ্যমান শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আর বিদ্যালয়গুলোর ম্যানেজিং কমিটিগুলোকেও সহযোগিতা করতে হবে। আমাদের ভুললে চলবেনা প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়ছেন তা বাস্তবায়নে চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে স্মার্ট করতে হবে।”

মেয়র ছাত্র-ছাত্রীদের সপ্তাহে একদিন সংস্কৃতি, বিতর্ক অনুষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচলনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য পরিচালনা কমিটি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেন। এসময়  চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে বলে পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন।

শিল্পায়নের ঝুঁকি ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণকে আলোকবর্তিকা হিসেবে শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে বলে মন্তব্য করে  মেয়র  বলেন, যে  জাতি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত নয়; তার স্থান সভ্য সমাজ থেকে অনেক পিছিয়ে থাকে। চির সবুজ সোনার বাংলাকে উন্নত থেকে আরও উন্নততর করতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।   প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানন্নোয়নে শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা যদি সক্রিয়ভাবে কাজ করে তাহলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান  হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। শিক্ষকদের আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শ্রেণিকক্ষে ও অনলাইনে পাঠদানে পারদর্শী হতে হবে।

চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন  কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল হক খান, জাহাঙ্গীর আলম, সাথী রানী পাল,শিক্ষক প্রতিনিধি রহিমুন্নেছা,জাহেদুন্নবী,পূর্ব বাকলিয়া সি /ক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তালেব বেলাল, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো.আবদুল করিম,কাজী শাহীন সুলতানা, শিক্ষক প্রতিনিধি চিত্রা চন্দ,তাহমিনা চৌধুরী, কাপাসগোলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোমা বড়ুয়া,অভিভাবক সদস্য সুলতানা রোকেয়া,মোহাম্মদ ইউসুফ, শিক্ষক প্রতিনিধি মমতাজ উদ্দিন,নাজমুন নাহার প্রমুখ। সভায় স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরনি পাঠ ও আয় ব্যয়ের হিসাব অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে স্কুল ও কলেজের নব গঠিত পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ মেয়রকে ফুলেল শুভেচছা জানান।