রাউজানের নিউজ

রাউজানে ট্রাক ও মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি আহত শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের রাউজানে পণ্যবাহী ট্রাক ও মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকালে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের রাউজান প্রেসক্লাবে সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহত দুইজন মোটর সাইকেল আরোহী। জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে পণ্যবাহী ট্্রাকটি রাঙ্গামাটি দিকে যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেলটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় মোটর চালক মোহাম্মদ সাইম (২১), পিতা মোহাম্মদ তোফায়েল ও মোটর সাইকেলের আরহী মোহাম্মদ ইমন (২১), পিতা তৌহিদুল আলম। দুই জনের বাড়ী ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আজাদী বাজার এলাকায়। আহতদের উদ্ধার করে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।

গরু দিয়ে লাঙ্গল, মই, জুয়াল দিয়ে ফসলী জমিতে চাষাবাদ করা বিলুপ্ত

একসময়ে ফসলী জমিতে চাষাবাদ করতে গাছের তৈয়ারী লাঙ্গল, জুয়াল, বাশের তৈয়ারী মই ব্যবহার করা হতো । গরুর কাধেঁ গাছের তৈয়ারী জুয়াল লাগিয়ে দিয়ে জুয়ালের সাথে গাছের তৈয়ারী লাঙ্গল লাগিয়ে দিয়ে জমিতে হাল চষে ফসলী জমি চাষাবাদের উপযোগী করে জমিতে ধান, সব্জি ক্ষেত করা হতো । কালের বির্বতনে এক সময়ে গরুর হাল বিলুপ্ত হয়ে গেছে । এলাকার কৃষকেরা ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করে গরুকে খাবার দেওয়ার গাছের লাঙ্গল, জুয়াল কাধে বহন করে গরু নিয়ে ফসলী জমিতে ছুটে যেতে । গরু দিয়ে গাছের লাঙ্গল ও জুয়াল দিয়ে জমিতে হাল চষে বাশের তৈয়ারী মই দিয়ে জমিতে মই দিয়ে জমি সমান করার পর জমিতে রোপন করা হতো ধানের চারা, সব্জির বীজ ও চারা । কালের বির্বতনে সনাতন পদ্বত্বিতে চাষাবাদ করা বিলপ্ত হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে ফসলী জমিতে যান্ত্রিক পাওয়ার টিলার দিয়ে হাল চষে জমি চাষাবাদের উপযোগী করে কৃষকরা ফসলী জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে । ভোর রাতে এখন আর কৃষকদের ঘুম থেকে উঠতে হয়না । ফসলী জমিতে চাষাবাদে এখন আর গরু ব্যবহার করা হয়না । গাছের তৈয়ারী লাঙ্গল ও জুয়াল বাশের তৈয়ারী মই ব্যবহার করা হয়না । হাটে বাজারে গাছের লাঙ্গল ও জুয়াল তৈয়ারীর কোন দোকান নেই । ফসলী জমিতে চাষাবাদ করছে যান্ত্রিক কৃষি উপকরন পাওয়ার টিলার, ধান কাটার মেশিন, ধান মাড়াই মেশিন । রাউজানের প্রবীন এক কৃষক আলী হোসেন বলেন, আমরা গরু লালন পালন করতাম। গরু দিয়ে গাছের লাঙ্গল ও জুয়াল ব্যবহার করে ফসলী জমিতে চাষাবাদ করতাম। বাশের তৈয়ারী মই দিয়ে জমি সমান করার পর ধানের চালা রোপন করতাম। যান্ত্রিক পদ্বতিত্বে চাষাবাদ করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সনাতন পদ্বতিত্বে চাষাবাদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।

দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক চার বৎসরে ও সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ হয়নি, হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে দুভোর্গের মধ্যে দিয়ে

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশনস্থ চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মহাসড়ক থেকে শুরু হওয়া দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়ক । দোসাত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কটি রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশন, রাউজান থানার সামনে দিয়ে ফকির হাট বাজার, সুলতান পুর, বাচাঁ মিয়ার দোকান, ডাবুয়া ইউনিয়নের কেউকদাইর, বাইন্ন্যার হাট, পশ্চিম ডাবুয়া হয়ে হলদিয়া আমির হাট হয়ে উত্তর সর্তা দরগাহছড়ি বাজার হয়ে ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর হয়ে আজাদী বাজারের দক্ষিন পাশে গহিরা হোয়াকো সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে । সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন রাউজান ফটিকছড়ি এলাকার হাজার মানুষ স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার হাজার মানুষ যানবহনে করে যাতায়াত করেন । এছাড়া ও ঐ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাতায়াত করেন । গত কয়েক বৎসর পুর্বে বর্ষার মৌসুমে বন্যায় শ্রোতের পানিতে সড়কটি বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয় । বন্যার পানির শ্রোতে সড়কটি ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার পর যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে । সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাউজান জলিল নগর বাস ষ্টেশন থেকে হলদিয়া আমির হাট সর্তা খালের উপর ব্রীজ পর্যন্ত দুটি প্যাকেজে ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যায়ে সড়কের উন্নয়ন কাজের টেন্ডার আহবান করে। ঠিকদারী প্রতিষ্টান চৌধুরী এন্টার প্রাইজ সড়কের উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারী নিয়ে জলিল নগর বাস ষ্টেশন থেকে ডাবুয়ার কান্দি পাড়া পর্যন্ত ১ম প্যাকেজের কাজ শেষ করে । ডাবুয়ার কান্দি পাড়া থেকে হলদিয়া আমির হাট পর্যন্ত সড়কে সৃষ্ট গর্ত নিম্মমানের ইট দিয়ে ভরাট করে সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ করেনি । সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ না করায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে দুভোর্গের মধ্যে দিয়ে । এলাকার বাসিন্দ্বারা অভিযোগ করে বলেন, সড়কের উন্নয়ন কাজে নিম্মমানের ইটের খোয়া, নিম্মমানের বিটুমিন দিয়ে প্রথম প্যাকেজের কাজ শেষ করা হলেও সড়কের অবশিস্ট উন্নয়ন কাজ না করে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান উধাও হয়ে গেছে । হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কের উন্নয়ন ক্জা চার বৎসরে ও শেষ করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান । এলাকার বাসিন্দ্বারা সড়ক দিয়ে দুভোর্গের মধ্যে প্রতিদিন যাতায়াত করছে । এ ব্যাপারে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে । আগামী জুন মাসের মধ্যে সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ করা না হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

রাউজানের নোয়াপাড়ায় ঋণগ্রস্ত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু

রাউজান উপজেলার ১৩ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া এলাকার বাসিন্দ্বা দিদারুল আলম (৬০) পাওনাধারের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গলায় ফাসঁ লাগিয়ে আর্ত্নহত্যা করে। গতকাল ১৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে দিদারুল আলম প্রতিবেশী মোঃ ইউনুচের ঘরে গলায় ফাস লাগিয়ে আর্ত্নহত্যা করে। আত্নহনন কারী দিদারুল আলম এলাকার লোকজন থেকে ঋন নিয়ে টাকা না দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় । প্রতিবেশী মোঃ ইউনুছের কাছ খেকে দিদারুল আলম টাকা ধার নেয় । প্রতিবেশী মোঃ ইউনুছ পাওনা টাকার জন্য দিদারুল আলমকে চাপ দিলে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মোঃ ইউনুছ ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘরে দিদারুল আলমকে বসিয়ে রেখে ঘরের বাইরে গেলে দিদারুল আলম ঘরের দরজা বন্দ্ব করে দিয়ে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে আর্ত্নহত্যা করে বলে এলাকার বাসিন্দ্বারা জানান । নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন দিদারুল আলমের কাছে এলাকার আনেক লোক টাকা পাওনা রয়েছে । এলাকার মানুষের পাওনা টাকা না দিয়ে দিদারুল আলম পালিয়ে বেড়াত । রাউজান থানার ওসি আবদুল্ল্রাহ আল হারুনকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ওসি আবদুল্ল্যাহ আল হারুন বলেন ঘটনার সংবাদ শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি । ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দিদারুল আলমের লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হবে । ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে দিদারুল আলম আর্ত্নহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করেছে তা জানা যাবে ।