দুর্নীতিবাজ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে রাজপথই একমাএ মুক্তির পথ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকার “উন্নয়ন” এর নয় “জনদুর্ভোগ” এর সরকারে পরিণত হয়েছে। সরকার দেশ ও জনগণের কল্যাণে কিছু করেনি। ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে এখন বিদ্যুৎ এর দেখা মেলা ভার। সামান্য প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে গতকাল থেকে চট্টগ্রামে লক্ষ লক্ষ পরিবার গ্যাসহীন। দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ চট্টগ্রামে ওয়াসা গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ করছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে ঘরে ঘরে ডায়রিয়া সহ মানুষ বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হচ্ছে। একেত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপর্যস্থ দেশের সাধারণ মানুষ, তার উপর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির মূল্য বৃৃদ্ধি করে জনজীবনে হাহাকার চলছে। মানুষের নাগরিক সমস্যা সমাধানে নয়,সরকার শুধু উন্নয়ন এর নামে জনগণের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে এবং নিজেদের আখের ঘোছাতেই ব্যস্ত। তাই দেশের জনগণকে এই দুর্নীতিবাজ, লুঠেরা সরকারের হাত থেকে মুক্ত করতে হলে রাজপথই একমাএ মুক্তির পথ।

তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেটা গোটা দেশের দাবি, জনগণের দাবি, জাতির দাবি। কিন্তু সরকার আরোও একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবারোও ক্ষমতায় আসার নীলনকশা তৈরি করছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে নিরেপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। আমাদের লক্ষ্য একটাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের লুন্ঠিত অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার আন্দোলনে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম ও খুনের শিকার। সর্বস্তরের নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে কারাবন্ধি করে রাখা হয়েছে। তবুও গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার আন্দোলন থেকে নেতাকর্মীদের বিচ্যুত করা যায়নি। যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিনের মাধ্যমে মুক্ত করে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেটিকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাব।

১৫ মে (সোমবার) বিকেলে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডস্থ এক কিলোমিটার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় গৃহস্থালী সামগ্রী ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কালে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি পরিদর্শন করে অগ্নিকান্ডের ভয়বহতা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন এবং সংগঠিত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি অগ্নি দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এবং নিহতের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা প্রদান করেন এবং সহমর্মিতা জানান। এলাকার বিত্তবান ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার জন্য তিনি আহবান জানান। তিনি আগামীতেও বিএনপির পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, গতকাল এক কিলোমিটার এলাকায় এক ভয়াবহ অগ্নি দূর্ঘটনায়  প্রায় ১৫টি কাঁচাঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায় এবং একজন মহিলা নিহত হন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল গাফফার চৌধুরী, নুরুল কবির, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-আপ্যায়ন বিষযক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী নিজামুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানা যুবদল এর আহবায়ক গোলজার হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আকতার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক এম.আবু বক্কর রাজু, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,চান্দগাঁও থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোরশেদ কামাল, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইসকান্দর হোসেন, বেলাল হোসেন, শফিউল্লাহ মামুন, আব্দুছ ছবুর, ইসকান্দর হোসেন, চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাউছার আলম, যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল ইসলাম ইমন, ৬নং সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন ,যুবদল নেতা মো. মুরাদ, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সাঈদ হোসেন বাপ্পী, মো.ফরিদ, মো. বাদশাহ,সরোয়ার, মো. নাঈম, ইউসুফ, জুয়েল, আলাউদ্দিন, খোকন, ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সাফায়েত হোসেন সোহান, ফরহাদ, আলমগীর প্রমূখ।