হঠাৎ ধসে পড়ল ২২ তলা ভবন, নিহত ৩

নাইজেরিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসে নির্মাণাধীন একটি উচ্চ ভবন ধসে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

এদিকে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ধসে পড়া ওই ভবনের ভেতরে অনেক মানুষ আটকা পড়ার আশঙ্কা করছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানায়, দুই বছর ধরে এই ২২ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছিল। স্থানীয়রা জানান বিকেল তিনটার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক উচ্চ শব্দে, ওই ভবনের একটি তলা আরেক তলার ওপর ধসে পড়ে।

এদিকে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আল জাজিরাকে জানান, ভবনটি ভেঙে পড়ার সময় অনেক শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েছিল। তবে ঠিক কতজন আটকা পড়েছেন তার সংখ্যা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তারা।

এদিকে লাগোসের পুলিশ কমিশনার হাকিম ওদুমোসু আল জাজিরাকে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনজন জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে হয়েছে।

এদিকে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির কর্মকর্তা ইব্রাহিম ফারিনলয়ে জানান, এ পর্যন্ত চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণের ভিড়ে উদ্ধার কাজ চালাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ভিড় নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী আনারও চেষ্টা করছি,”।

ঘটনাস্থলে থাকা চার নির্মাণ শ্রমিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ভবনটি যখন ভেঙে পড়ে তখন তাদের কয়েক ডজন সহকর্মী ভেতরে ছিলেন।

ভবনটির একজন স্থানীয় কর্মী পিটার আজগবে বলেন, ‘৪০ জন মানুষ ভেতরে ছিল, ধ্বংসস্তূপ থেকে ওপরে ওঠার সময় আমি ১০টি লাশ দেখতে পেয়েছি।

নির্মাণ শ্রমিক এরিক টেটেহ বলেছেন, যে তিনি এবং তার ভাই ধসের আগেই ভবন থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি অনুমান করে বলছেন, ভবনটি ভেঙে পড়ার সময় ১০০ জনেরও বেশি লোক ভেতরে ছিল।

আল জাজিরা জানাচ্ছে, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং নির্মাণ বিধি লঙ্ঘনের কারণে নাইজেরিয়ায় ভবন ধস সাধারণ ঘটনা। এর আগে ২০১৪ সালে লাগোসেই একটি গির্জার গেস্টহাউস ভেঙে পড়লে ১০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।