ঘূর্ণিঝড় মোখা: পূর্বপ্রস্তুতি পরিদর্শনে বাঁশখালীর ইউএনও

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলার পূর্বপ্রস্তুতি ঘুরে দেখতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বাঁশখালী ছনুয়া ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী।

শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় পরিদর্শনে যান তিনি।

এসময় চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আবু ছৈয়দ মোহাম্মদ মুজিব, এলাকার চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশিদ ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন সঙ্গে ছিলেন।
ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশিদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান অতি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

সিত্রাংয়ের সময় সেসব জায়গা দিয়ে সাগর থেকে পানি ঢুকে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করি। কিন্তু এবার মোখার প্রভাবেও বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন এলাকার ২৭ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৫ হাজার লোকজন আশ্রয় নিয়েছে এবং ১৫ হাজার লোক এলাকা ছেড়ে আশেপাশের ইউনিয়নে চলে গেছে। আমার ইউনিয়নের বাঁধের অতি ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো কাল থেকে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কারের চেষ্টা করছেন। আজও ইউপি সদস্যরা স্থানীয়দের নিয়ে কাজ করছেন। আমরা মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি।

চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ রয়েছে মোট ২৫০ কি.মি। এর ১২ দশমিক ৭ কি.মি অরক্ষিত (ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ) রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বাঁশখালীতে ৩৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ১.২ কি.মি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ হল খানখানাবাদ ও ছনুয়া ইউনিয়ন এলাকায়।