আওয়ামী লীগ আবার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত শুরু করেছে

বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দিন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ আবার ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগের সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না কারণ নেতা কর্মী ও জনগণ এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না।
তিনি আজ শনিবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্হ দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও আসলাম চৌধুরী সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে  আনীত মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও পুলিশি হামলার প্রতিবাদে  চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন।

উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই, তাই এই স্বৈরাচার সরকারেরও আর দরকার নেই। এটাই আজ জনগণের কথা। দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপশি বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং শুরু হয়েছে। মানুষ প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিয়ে সরকার জাতির সাথে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করেছে।দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দেশের মানুষের জীবনযাপন খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মানুষের পেটে খাবার নেই। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম। জনগণই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া বলেন ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আদালতকে ব্যাবহার সরকার নেতা কর্মীদের মামলা দিয়ে জেলে দিচ্ছে। মামলা-হামলা জেলে দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবেনা। বিএনপির নেতাকর্মীরা ভীরু -কাপুরুষ নয়। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাই সর্বস্তরের নেতাকর্মী রাজপথে বুকের তাজা রক্ত দিতে প্রস্তুত। আমরা যদি রাজপথের আন্দোলনকে বেগবান করে আরও শানিত করতে পারি এই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, শেখ হাসিনার পতনও নিশ্চিত। ভয়কে জয় করে এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত লড়াইয়ে যুবদল -স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরাই জয়ী হবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহউদ্দিন, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, অধ্যাপক আজম খান, এডভোকেট এম এ তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, ডা: খুরশিদ জামিল চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, আনোয়ার হোসেন, নিজাম উদ্দিন কমিশনার, কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, গাজী নিজাম উদ্দিন,  রিপন তালুকদার, মোঃ মহিউদ্দিন,  জাকির হোসেন,  অহিদুল আলম,  আব্দুস সালাম,  বদরুল আলম, হাসান মোহাম্মদ জসিম, মুরাদ চৌধুরী, আবদুল মোতালেব চৌধুরী,সৈয়দ নাসির উদ্দীন,  নার্গিস আক্তার,  শফিউল আলম চৌধুরী, কবির চেয়ারম্যান, নুরুল ইসলাম বাবুল, মোহাম্মদ সিদ্দিক, জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, মনিরুল আলম জনি, আশরাফ হোসেন, মিনহাজ উদ্দিন সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।