ঘূর্ণিঝড় মোখা: পতেঙ্গা উপকূল থেকে লোকজনদের নিরাপদে সরে যেতে প্রশাসনের নিরন্তর চেষ্টা

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা, হালিশহর আনন্দবাজার বেড়ীবাঁধ আকমল আলী রোড‌ সমূদ্র সৈকত উপকূলীয় ওয়ার্ড এলাকা সহ ইপিজেড- বন্দর, পতেঙ্গা  নিচু এলাকার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতেই  এলাকায়  মাইকিং সহ দিনভর প্রশাসনের নিরন্তর চেষ্টা করতে দেখা গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সর্বশেষ ৮ নম্বর মহা বিপদ জারির পর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের লোকজন কে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান করতে বলা হলেও কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে দেখা যায় নি, তবে এই উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত বহুতল ভবনে জেলে পরিবার ও অন্যান্য অসহায় মানুষের নিরাপদ স্থানে  আশ্রয় নিতে যেতে দেখা গেছে।  আকমল আলি বেড়িবাঁধের জেলে পরিবারের সদস্য বিমল দাশ জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয় ক্ষতি  থেকে জানমালের রক্ষার্তে ইতিমধ্যে  নিরাপদ স্হানে আশ্রয়  নিয়েছি তবে উপকূলীয় নিচু এলাকা থেকে আশ্রয়ে চলে গেল ও আমাদের লাখ লাখ টাকার সম্পদ অনেকটা অনিরাপদ ও ঝুঁকিতে রয়েছে। বিকেলে  চট্টগ্রাম  সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর, রেড ক্রিসেন্ট টিম, ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দূর্যোগ উপ-কমিটির সদস্যরা এবং পুলিশ -আনসার বাহিনীর সদস্যরা পতেঙ্গা উপকূলীয় অঞ্চল পরিদর্শন করেন  এবং  মাইকিং সহ মানুষজনকে সরে যেতে ব্যাপক প্রচারণা চালান। শনিবার (১৩ মে) দুপুরে আবহাওয়া দফতরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মোখা এদিন দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।