ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ১০ জেলায় ৫৪২৭ আশ্রয়কেন্দ্র

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ১০টি জেলায় পাঁচ হাজার ৪২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬১১ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। শনিবার (১৩ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালণয় এমন তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চট্টগ্রামে ৫৩০টি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার ৮৫০ জন, কক্সবাজারের ৫৭৬টিতে পাঁচ লাখ ১০ হাজার জন ও নোয়াখালীর ৪৬৩টিতে তিন লাখ তিন হাজার ৬০০ জন আশ্রয় নিতে পারবেন।

এছাড়া ঝালকাঠির ৪২৭টিতে তিন লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৫ জন, বরিশালে ৫৪১টিতে দুই লাখ ৭০ হাজার ৫০০ জন, পটুয়াখালীতে ৭০৩টিতে দুই লাখ ৫০ হাজার ২৬৮ জন, বরগুনায় ৬৪২টিতে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৫১০ জন, ভোলায় ৭৪৬টিতে পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৬ জন, চাঁদপুরে ৩৫৩টিতে এক লাখ তিন হাজার ৯৫৭ জন, বাগেরহাটে ৪৪৬টিতে দুই লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৫ জনকে আশ্রয় দেয়া হবে। এর বাইরে চট্টগ্রামে ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে মোখার গতি বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের উপকূলের সঙ্গে এর দূরত্ব কমছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মোখার সঙ্গে বাংলাদেশের উপকূলের দূরত্বও কমছে। সর্বশেষ ১৪ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।