দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?

অতি সুলভে পাওয়া একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবারের নাম হলো ডিম। পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পুষ্টিবিদরা নিয়মিতই খাওয়ার পরামর্শ দেন। তাই বলে কি দিনে নিজের ইচ্ছা মতো ডিম খাওয়া যাবে?

ডিমে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যারোটিনয়েডস, লিউটিন, জিয়াজ্যান্থিনের মতো নানা পুষ্টি উপাদান। তাই শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক সব বয়সীরাই ডিম খেতে পারবেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম পুষ্টিকর হলেও দিনে অনেকগুলো ডিম খেলে শরীরে তা খারাপ প্রভাব ফেলে। এ প্রসঙ্গে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রধান ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার মনে করেন, কাজের ধরণ কিংবা শরীরের রোগ ভেদে ডিম খাওয়ারও ভিন্নতা রয়েছে।

যেমন সুস্থ ব্যক্তিরা দিনে একটি ডিমই খেতে পারবেন। যা থেকে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যাবে। আর শুধু ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন সর্বোচ্চ ৪ টি।

যারা নিয়মিত শরীরচর্চা বা বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন তারা দিনে ২ টি কিংবা ৮ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এমন ব্যক্তিদের শরীর ডিমের প্রোটিন খুব সহজে গ্রহণ করে নেয়। যার কারণে তাদের পেশির সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে কিংবা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তারা কোনো ভাবেই ডিমের কুসুম খেতে পারবেন না। শুধু মাত্র ১ টি ডিমের সাদা অংশই খেতে পারবেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের সব গুণাগুণ পেতে হলে ডিম সবসময় সিদ্ধই খেতে হবে। কখনই ননস্টিক কড়াইয়ে ডিমের পোচ খেতে পারেন। তবে কোনোভাবেই ডিমের ওমলেট বা অর্ধসিদ্ধ ডিম খাবেন না। এতে ডিমের সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়া থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন আবার পেটের নানা গোলযোগেও ভুগতে পারেন। তবে অ্যালার্জি কিংবা ক্রনিক কিডনি ডিজিজের স্টেজ টু বা থ্রি-র রোগীরা ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলবেন।