এবার নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বসছে বিএনপি’র হাইকমান্ড

জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে করণীয় ঠিক করতে এবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতামত নেবে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা একই ইস্যুতে ইতিমধ্যে দলের বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নেয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে চলমান আন্দোলন এক দফায় নিয়ে যেতে যে প্রস্তুতি চলছে তার অংশ হিসেবেই দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের মতামত নেয়া হচ্ছে। সবার মতামত গ্রহণের পর স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে। পাশাপাশি সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা হতে পারে বিএনপি নেতাদের।
সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে তৃণমূলের নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে দলীয় কোন্দল, ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন, বিএনপি’র সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অভিযোগ করেন জনপ্রতিনিধিরা। চলমান যুগপৎ আন্দোলন জোরালো করতে দলীয় কোন্দল নিরসন চেয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দিয়ে মাঠপর্যায়ের আন্দোলন-কর্মসূচিতে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে হাইকমান্ড। রমজান মাসে আন্দোলন কর্মসূচির ছন্দ ধরে রাখতে এবার বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

সরকার পতন আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে নির্বাহী কমিটির সক্রিয়তা শতভাগ নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি।
সূত্র জানায়, সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও নির্বাহী কমিটির অনেক নেতা অংশ নিচ্ছেন না। কেউ কেউ এলাকায় যাতায়াত ও তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন না। এতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে, গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ই মার্চ পর্যন্ত মাঠপর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সরকারবিরোধী একটি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যেই ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের ২ হাজার ৩৬৭ জন চেয়ারম্যান। দশ দিনের মতবিনিয়ম সভায় ৩৫৭ জন জনপ্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে-সরকার পতন আন্দোলনে তৃণমূলে ইউপি চেয়ারম্যানদের সম্পৃক্ততার মধ্যদিয়েই সাধারণ জনগণকে মাঠে নামানোর তাগিদ দেয়া হয়। বিএনপি দপ্তর বিভাগ ৩৫৭ জন জনপ্রতিনিধির বক্তব্য রেকর্ড করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জনপ্রতিনিধিদের দেয়া বক্তব্যগুলো যাচাই-বাচাই করছেন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম।
বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা বলছেন, সময়ের ব্যবধানে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করবেন দলীয় হাইকমান্ড। সেই আন্দোলনে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবেন। এজন্য দলটির নিষ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে বলা হয়েছে।