লটারি জিতে গোপনে প্রেমিককে বিয়ে করলেন স্ত্রী, প্রবাসী স্বামীর মামলা

স্বামী ও তিন সন্তানকে ভুলে গোপনে প্রেমিককে বিয়ে করলেন এক স্ত্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে থাইল্যান্ডে। সম্প্রতি ওই নারী লটারিতে ১২ মিলিয়ন বাথ (তিন কোটি ৭০ লাখ বাংলাদেশি টাকা) জিতেন। এরপরই প্রবাসী স্বামীকে ফেলে গোপনে বিয়ে করেন তার প্রেমিককে। লটারি জেতার বিষয়টিও গোপন রাখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত স্বামী পুরো বিষয়টি টের পান এবং দেশে ফিরে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
খবরে জানানো হয়, প্রায় ২০ বছরের বিয়ে ছিল ৪৭ বছরের নারিন ও ৪৩ বছরের চাউইওয়ানের। তাদের আছে তিন সন্তানও। কিন্তু সব ভুলে প্রেমিকের সঙ্গে ভাগলেন চাউইওয়ান। এই অবস্থায় মানসিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছেন নারিন।

এখন তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে আইন অনুযায়ী লটারির অর্ধেক অর্থ দাবি করেছেন। নারিন বলেন, আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম, কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমি আশাই করিনি যে বিয়ের ২০ বছর পর আমার স্ত্রী, আমার সঙ্গে এমন করবে।
পরিবারের বিশাল ঋণ শোধ করতে ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজ করতে গিয়েছিলেন নারিন। গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি চাউইওয়ান তাকে ফোন দিয়ে জানান যে, নারিনের সঙ্গে তিনি আর থাকতে চান না। তাদের মধ্যে ভালবাসা আর অবশিষ্ট নেই। তাদের সম্পর্কের মাধুর্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদিও এর আগে লটারি জিতেই তার প্রেমিককে বিয়ে করে নেন চাউইওয়ান। নারিনের দাবি, তিনি ঘুণাক্ষরেও লটারি জেতার কথা জানতে পারেননি। পরে মেয়েদের কাছ থেকে শুনেছেন যে তার স্ত্রী এতগুলো অর্থ জিতেছেন।

এরপর কিছু বুঝতে আর বাকি থাকে না নারিনের। ৩রা মার্চ তিনি থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং স্ত্রী’র সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে চান। কিন্তু চাউইওয়ান এখন আর তার আগের স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চান না। তাই নারিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আদালতেই বিষয়টির হেস্তনেস্ত করবেন তিনি। নারিন জানান, তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩০ হাজার বাথ আছে। কারণ বাকি সব অর্থই তিনি তার স্ত্রীকে পাঠিয়ে দিতেন। তিনি এখন তার ওই অর্থ ফেরত চান। আইনজীবীদের মতে, আদালতে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের প্রমাণ দিতে পারলেই ওই লটারির অর্ধেক অর্থ পাবেন নারিন। এই ঘটনার বিষয়ে এখন পুলিশ তদন্ত শুরু হয়েছে।