সমকামি পরিচয় দিলেও পেতে হবে সাজা, উগান্ডায় নতুন আইন

নিজেকে সমকামি হিসেবে পরিচয় দেয়াকেও শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে উগান্ডা। দেশটির পার্লামেন্ট এরইমধ্যে আইনটি পাস করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমলিঙ্গের সম্পর্কের শাস্তি আরও কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে দেশটিতে।

খবরে জানানো হয়, উগান্ডাসহ আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে সমকামি সম্পর্ক নিষিদ্ধ। তবে মঙ্গলবার পাস হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, নিজেকে সমকামি দাবি করাও এখন উগান্ডায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ফলে দেশটিতে কেউ যদি এখন নিজেকে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল বা ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। উগান্ডার এমন আইন পাসের নিন্দা জানিয়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে একজন ছাড়া সবাই সমকামিতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। এ আইনের সমর্থকরা বলছেন, সমকামিদের প্রচারণা বন্ধে আইন কঠিন করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এসব পশ্চিমা সংস্কৃতি আফ্রিকার রক্ষণশীল এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর আইনটি বাস্তবায়নে এখন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের দরকার পড়বে।

তাই আইন স্বাক্ষর করতে এটিকে প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনির কাছে পাঠানো হয়েছে।
মুসেভেনি বর্তমান আইন সম্পর্কে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে দীর্ঘকাল ধরেই তিনি সমকামিদের অধিকারের বিরোধিতা করছেন। এর আগে ২০১৩ সালে তিনি সমকামিতাবিরোধী আইন চালু করেন। সেসময় পশ্চিমা দেশগুলো এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল। তবুও সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি মুসেভিনি। ৭৮ বছর বয়সী এই নেতা একাধিকবার জানিয়েছেন যে, সমকামিতা নিষিদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের চাপকে তিনি গুরুতর মনে করেন না। তবে তিনি পশ্চিমা দাতা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান।

আইনপ্রনেতা ডেভিড বাহাটি পার্লামেন্টে বলেন, আমরা যা করছি তাদের আমাদের ঈশ্বর খুশি হবেন। আমাদের শিশুদের ভবিষ্যত রক্ষা করার জন্য বিলটি জরুরি ছিল। এটি আমাদের জাতির সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করবে। কারও উচিৎ নয় আমাদের ব্ল্যাকমেইল করা কিংবা ভয় দেখানো।