ফিলিস্তিনসহ আরব ইস্যুতে বাংলাদেশের সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা জর্ডানের

৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড হায়াত আম্মানে এক রিসিপশনের আয়োজন করেছিল জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশটির আইন প্রতিমন্ত্রী ড. ন্যান্সি নামরুকা। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। বাংলাদেশ মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মিজ সোবহান বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয়, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ অভ্যাগত অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জর্ডানের আইনমন্ত্রী ড. ন্যান্সি নামরুকা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি এবং দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ঢাকার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য আম্মান গর্বিত। বাণিজ্য, পর্যটন, জনশক্তি ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা এবং জর্ডানে ৬৫ হাজারের অধিক বাংলাদেশী নাগরিকের উপস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। আরব ইস্যু বিশেষ করে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের প্রশংসা করেন জর্ডানের আইনমন্ত্রী। বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে এবং বাংলাদেশের অব্যাহত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বক্তব্যের সমাপ্তি টানেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের বিস্তারিত তুলে ধরে অনুষ্ঠানে দেয়া স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ২০২২ সালে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীরা জর্ডানের বিভিন্ন খাতে অবদান রেখে চলেছে, যা পারস্পরিক উন্নয়ন-অংশীদারিত্বের উদাহরণ ।

বাংলাদেশ ও জর্ডানের মধ্যে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ মধ্য দিয়ে বিনিয়োগ, কৃষি, পর্যটন শিল্পের বিকাশ তথা দু’দেশের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন জোরদার করা সম্ভব। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে ঢাকা থেকে যাওয়া সৃষ্টি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নান্দনিক পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

জর্ডানের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও জীবনধারা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে অতিথিরা নৈশভোজে অংশ নেন। আরব বিশ্বে বাংলাদেশি খাবারের ঐতিহ্য তুলতে ভোজে দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। নৈশভোজ চলাকালে বাংলাদেশের ব্যবসা- বাণিজ্য, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং অবকাঠামো নিয়ে প্রচারণামূলক অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয় । যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স এবং ঔষধ শিল্পের সমৃদ্ধি এবং সম্ভাবনাকে বিশেষভাবে প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে আগত অতিথিদের দেশীয় চা উপহার দেয়া হয়।