বাখমুত পুনরুদ্ধারে সৈন্য জড়ো করছে ইউক্রেন, বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি

বাখমুতের কাছে সৈন্য জড়ো করছে ইউক্রেন। শীগগিরই তারা শহরটিতে থাকা রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে অভিযান শুরু করবে। রাশিয়ার লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের এক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট-কর্নেল আন্দ্রেই মারোচকো এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন এখন বাখমুত পুনরুদ্ধারে বিপুল সেনা পাঠাবে। এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা তাস।

প্রাভদা রেডিওতে মারোচকো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ইউক্রেন এখন এ অঞ্চলে সৈন্য জড়ো করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তারা কোনো ভাবেই বাখমুতকে রাশিয়ার অধীনে থাকতে দেবে না। ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও শহরের পশ্চিমাঞ্চলের দখল ধরে রেখেছে। এখন সেখানে নতুন নতুন সেনা পাঠাচ্ছেন জেলেনস্কি। তিনি সেখানে এখন বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হয়ত তিনি বাখমুতে কাউন্টার অফেন্সিভ শুরু করার কথাও ভাবছেন।

এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রশিক্ষণ নেয়া ইউক্রেনীয় সেনারা দেশে ফিরতে শুরু করেছে।

তাদেরকে ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন করা হচ্ছে। তারা বেশ ভালোভাবে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। পশ্চিমাদের দেয়া সশস্ত্র যান এখন পশ্চিম ইউক্রেনে অভিযানে অংশ নিচ্ছে। যদিও এখনও ট্যাংকের দেখা মেলেনি। তবে সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন বিপুল শক্তি নিয়ে রাশিয়াকে থামানোর চেষ্টা করছে। মারোচকো বলেন, পশ্চিমা সহযোগিদের কারণে ইউক্রেন এখন ভাল শক্তি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ছে।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, শুধু বাখমুত নয়, এর পশ্চিমে থাকা স্লাভিয়ানস্ক, ক্রামাতরস্ক এবং দ্রুঝকোভাতেও সেনা সমাবেশ ঘটাচ্ছে ইউক্রেন। রাতের বেলা এসব শহর থেকে বাখমুতের দিকে সেনা পাঠায় ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় জেনারেল ভিক্টর নাজারোভ জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫০ হাজার সেনা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তারা দেশে ফিরে যুদ্ধে যোগ দিলে এবং পশ্চিমাদের থেকে প্রতিশ্রুত অস্ত্র পেলে যুদ্ধের গতি বদলে যাবে বলে আশা ইউক্রেনের।
বর্তমানে বাখমুত শহরের ৭০ শতাংশ রুশদের দখলে। এছাড়া শহরে প্রবেশের সবগুলো রাস্তাই দখলে নিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। ফলে কর্দমাক্ত রাস্তা ছাড়া এই শহরে সাপ্লাই পাঠাতে পারছে না ইউক্রেন। কিন্তু দনেতস্কের সরকার প্রধান ডেনিস পুশিলিন জানিয়েছেন, এই দুরাবস্থার মধ্যেও ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধে ক্ষান্ত দিচ্ছে না। তাদের আত্মসমর্পণ কিংবা বাখমুত থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো ইঙ্গিত নেই। কিয়েভ বারবার জানিয়েছে, যেভাবেই হোক বাখমুতকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যেতে দেয়া হবে না। জেলেনস্কি বলেন, যতদিন দরকার হয় তারা বাখমুতের জন্য লড়াই করে যাবেন এবং কোনো অবস্থাতেই এই শহর সারেন্ডার করবে না তারা।