বিএনপি থেকে বহিষ্কার, শওকত মাহমুদ বললেন দুঃখজনক

দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর থেকে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শওকত মাহমুদ বললেন দুঃখজনক
এ ব্যাপারে শওকত মাহমুদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে কেন দুঃখজনক তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি। তিনি বলেন, দু-একদিন পর বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাবো।

উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে নৈশ ভোজের আয়োজন করেছিল জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি। এই কমিটির আহবায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। এই কমিটির সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ।
নৈশ ভোজের অনুষ্ঠান হলেও কমিটির পক্ষ থেকে ওই অনুষ্ঠানে একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। ওই প্রস্তাবে অন্তবর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠন করে সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছে আরো আগেই। এই প্রস্তাবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ এর ইনসাফ কায়েম কমিটি যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগেই একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। তাদের এই প্রস্তাব বিএনপি’র প্রস্তাবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে তিনি এ প্রস্তাব দিতে পারেন না। এটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এ কারণে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম তাকে
বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।