ঢাবি পড়ুয়া মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতা

গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া এলাকার মো. মাসুদ মিয়া। এসেনশিয়াল ড্রাগসের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কর্মরত তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে সুইটিকে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। রোববার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে উঠেছিলেন ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে। দুর্ঘটনায় তিনি বেঁচে গেলেও হারিয়েছেন মেয়েকে। শোকে বিহ্বল পিতা মাসুদ মিয়া বাকরুদ্ধ। আহত অবস্থায় শিবচরের পাঁচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল তার। মেয়ে সুইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষে পড়তো। ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো মেয়ে।

মো. মাসুদ মিয়া আহাজারি করতে করতে বলেন, মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হলো না। আমাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো।

আমি মরে গিয়ে যদি মেয়েটা বেঁচে থাকতো।
জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বাসটি বাগেরহাট, গোপালগঞ্জসহ পথিমধ্যে থেকে যাত্রী তোলেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। বেপরোয়া গতিতে বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকার এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাসের ১৪ যাত্রী। শিবচর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় আরো ৩ জন। এবং ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর মারা যায় আরও ২ জন। মোট ১৯ জন যাত্রী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লক কুমার হাজরাকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবে। আগামী দুই কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার মূল কারণ, কাদের গাফিলতিসহ বিস্তারিত অনুসন্ধান করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।