রেকর্ড জয়ে সিরিজে লিড বাংলাদেশের

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা প্রত্যাশা মতো হয়নি বাংলাদেশের। ইংলিশদের কাছে স্বাগতিকরা সিরিজ হেরেছিলো ২-১ ব্যবধানে। তবে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যেখানে শেষ করেছিল, আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। সিলেটে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে। রানের হিসেবে এটি বাংলাাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে এই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৬৯ রানের জয় এসেছিল।
তার আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে। ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে টস হেরে স্বাগতিক দল। তার পর দুই ওপেনার ডোহানি ও স্টার্লিং দারুণ সূচনায় প্রভাব বিস্তার করছিলেন। ৬০ রানের এই জুটি সাকিব ভেঙে দিলে মুহূর্তেই বদলে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।

দুই পেসার এবাদত হোসেন ও তাসকিনের আঘাত ধস নামালে সেখানেই ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
৭৬ রানে পড়েছে পঞ্চম উইকেট। তার পর বাকিটা ছেঁটে দিয়ে জয় তরান্বিত করেছেন নাসুম আহমেদ ও এবাদত হোসেন। শেষ উইকেট এবাদত তুলে নেওয়ায় ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন এবাদত। ৪৩ রানে তিনটি নিয়েছেন নাসুম। ১৫ রানের বিনিময়ে দুটি মেডেন উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২৩ রানে একটি নিয়েছেন সাকিব।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৮৯ বলে সর্বোচ্চ ৯৩ রান করেন সাকিব আল হাসান। ৮৫ বলে ৯২ রান করেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। ২৬ বলে ৪৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। ৪ উইকেট নেন গ্রাহাম হিউম।
এই ম্যাচে রেকর্ড পাঁচটি ক্যাপ নিয়েছেন মুশফিকুর রহীম। এরমধ্যে আয়ারল্যান্ডের প্রথম তিন উইকেটেই ক্যাচ নিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার। মাঝে বিরতি দিয়ে পরে গ্লাভসে নিলেন আরও দুটি। ইবাদত হোসেনের বলে মার্ক অ্যাডায়ারের ক্যাচটি নিয়েই ছুঁলেন রেকর্ড।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে কিপারদের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড ৫টি। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম ৫ ক্যাচ নেন খালেদ মাসুদ। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে এই রেকর্ডে ভাগ বসান মুশফিক। প্রায় ৮ বছর পর আবারও ৫ ক্যাচ নিলেন তিনি।