উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে প্রয়োজন জনসচেতনতা: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামের উন্নয়নে চলমান কর্মযজ্ঞের সুফল ঘরে তুলতে জনসচেতনতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি।
শনিবার পশ্চিম বাকলিয়া ও মৌসুমী আবাসিক এলাকার আরসিসি ড্রেইনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এমপি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের পাশাপাশি জনসচেতনতাও প্রয়োজন। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণকে ভূমিকা রাখতে হবে। আপনারা যত্রতত্র ময়লা ফেলবেননা, পানি অপসারণের পথ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করবেননা।
“প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে যে বিপুল উন্নয়ন কাজ চলছে তার সুফল ঘরে তুলতে জনগণকে সরকারের পাশে চাই। বদলে যাওয়া চট্টগ্রাম হবে বিশ্ববাণিজ্যের হাব। জলাবদ্ধতামুক্ত উন্নত চট্টগ্রামে বেড়ে উঠবে আমাদের আগামী প্রজন্ম।”
প্রকল্প কাজের উদ্বোধনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের সুফলকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে যেসব এলাকার অলি-গলিগুলো প্রশস্ত ও উন্নত না হওয়ায় সাধারণ মানুষরা কষ্ট পাচ্ছে সেসব এলাকারাও উন্নয়ন করা হবে।
“চট্টগ্রামের অলি-গলি ও পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোতে নালা নির্মাণ ও সড়ক নির্মাণ করছি আমি৷ আজকের এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এই এলাকার জলাবদ্ধতা ও যানজট দুটি সমস্যারই সমাধান হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন সেটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামে কোন কাঁচা রাস্তা থাকবেনা।”
৮ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার প্রকল্পের ফলে ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রোড, শালবন আবাসিক এলাকা রোড, মোস্তফাবাগ আবাসিক এলাকা রোড, চাঁদমিয়া মুন্সী রোড ও আরসিসি ড্রেইন, মৌসুমী আবাসিক এলাকা রোড ও আরসিসি ড্রেইন, উজির আলী শাহ লেইন এবং কেবি আমান আলী বাইলেইনের উন্নয়ন করা হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম, আবুল হাসনাত বেলাত, নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
এরপর মেয়র চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিপিডিএলের সহযোগিতায় দেবপাহাড়সহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার চলমান সবুজায়ন ও আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু ও রুমকি সেনগুপ্ত।
মেয়র বলেন, আবাসন খাতের ব্যবসায়ী কোম্পানিগুলো কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অবদান রাখতে হবে৷ পাহাড়-বন ধ্বংস করে ফেললে তা আর ফেরত পাওয়া যাবেনা। প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে নগর পরিকল্পনা ও প্রাণ-পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সবাই মাথায় রেখে কাজ করবেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে শিশুদের খেলার স্থান আর বিনোদনের স্থানটুকু যাতে রক্ষিত হয় সে ব্যাপারে সচেতনতা জরুরি। এক সময়ের সবুজেঘেরা চট্টগ্রাম যাতে কেবল ইট-পাথরের নগরীতে পরিণত না হয় তার জন্য চাই সম্মিলিত উদ্যোগ।