স্যামসাংয়ের দাবি, ৬জি এর গতি ১ টেরাবিট

ফাইভ জি মোবাইল নেটওয়ার্ক এখনও আম জনতার নাগালে আসেনি। গুটিকয়েক দেশে মাত্র চালু হয়েছে এ নেটওয়ার্ক। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কের গবেষণা।

এ কাজ শুরু করেছে স্মার্টফোন ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং। দক্ষিণ কোরিয়ান ব্র্যান্ডটি এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ও যন্ত্রাংশ তৈরির কাজে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে।

স্যামসাংয়ের দাবি, ৬জি এর গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ টেরাবিট। তাদের গবেষক দল, পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কের সঙ্গে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির স্বমন্বয় করার চেষ্টা করেছেন।

বেশ কিছু দেশে ফাইভ জির যন্ত্রাংশ তৈরির পাশাপাশি তারা পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ৬জি নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছে।

ফাইভ জি নেটওয়ার্কের জন্য যেসব টেলিকম যন্ত্রাংশ লাগে সেগুলো তৈরিতে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত তিন কোম্পানির প্রভাব ব্যাপক। সেগুলো হলো এরিকশন, হুয়াওয়ে ও নকিয়া।

এদের কাতারে নাম লেখাতে টেলিকম যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা করছে স্যামসাং। এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে ‘অ্যাডভান্সড টেলিকমিউনিকেশন রিসার্স সেন্টার’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র চালু করেছে।

ওই কেন্দ্রে একদল গবেষক ষষ্ঠ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি কোরিয়ান এক পত্রিকায় দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে স্যামসাংয়ের এক কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।

বর্তমানে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ৬জি নিয়ে কাজ করছে। নেটওয়ার্ক খাতের মার্কেট লিডার হুয়াওয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের আগে ৬জি বাণিজ্যিকভাবে চালু অনেকটা অসম্ভব।