বাংলা একাডেমি পদকপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক “আঁরার হক ভাই” অনরে অভিনন্দন !

রশীদ এনাম:: শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস সৃজনশীলতাকে হৃদয়ে লালন করতে হলে ইতিহাসবিশারদকে নতজানু হয়ে শ্রদ্ধা করতে হয়, সম্মান করতে হয় ভালোবাসতে হয়।

যার হৃদয়ের ক্যানভাসের অলি গলিতে আঁকা ছিল প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইতিহাস। মা মাঠি শিকড়ের টানে যার লেখনি সত্যের তথ্য নিয়ে বাস্তব জীবনে কথা বলে সঠিক ইতিহাসের কথা বলে। একজন নিভৃতচারী আপাদমস্তক ইতিহাসবিদের যতো গুণাবলী থাকা উচিত সবকিছু আমি খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি। এমনই একজন দেশবরেণ্য খ্যাতীমান জাদুকরী ইতিহাসবিশারদ লেখক ও গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, যিনি চট্টগ্রামে হক ভাই নামে পরিচিত। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বোধ থেকে তাঁর কর্মে- লেখায় প্রাধান্য পেয়েছে ইতিহাস সাশ্রয়ী নানা বিষয়। ইশকুলবেলা থেকে একজন খুদে শীর্ষ হিসেবে তাঁর সৃজনশীল কাজগুলো আমাকে মুগ্ধ করে।

পটিয়া আল্লাই কাগজীপাড়া গ্রামটি পটিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এ অবস্থিত। সুফি সাধক হযরত আশরাফ আলী স্মৃতিবিজড়িত কাগজশিল্প থেকে কাগজী পাড়া। কাগজী পাড়ায় একসময় কাগজ তৈরি হতো বলে কাগজীপাড়া গ্রামটি পটিয়ার কালের সাক্ষী। শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতিতে সমগ্র চট্টগ্রামে পটিয়ার বেশ নাম যশ আছে। এ জন্যে একদা চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের প্রয়াত অধ্যক্ষ প্রফেসর সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী স্যার বলেছিলেন, চধঃরুধ রং ঃযব ইৎধরহ ইড়ী ড়ভ ঈযধঃঃড়মৎধস.পটিয়া চানখালী নদীর ইন্দ্রপুল ব্রিজের পশ্চিম পাশে কাগজীপাড়া গ্রামের প্রবেশদ্বার। পাশে এঁকে বেঁকে বয়ে গেছে চানখালী খাল। খালের পানিতে বাঁশের ভেলা সারি সারি করে বিক্রির জন্য সাজানো। খালের পাড়ে নোঙর করা আছে লবণের সাম্পান। চানখালী খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে লবণ শিল্প। আমার শৈশব কৈশোর ও বেড়ে উঠে সুচক্রদন্ডী গ্রামে নানা বাড়িতে। বাড়িটি দিঘী আর চারিদিকে নারিকেল ও খেজুর গাছে ভরা। বাবুই পাখির বাসা দুলতো নারিকেল গাছে। আশে-পাশে কাদাযুক্ত লবণের মাঠ। চানখালীর পাশে ছিল পটিয়া কালের স্বাক্ষী ষষ্ঠি বৈদ্যার হাট, কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে। পাখি ডাকা, ছায়া-ঘেরা পুকুর,বিল-ঝিল সবুজের হাতছানি দেয় কাগজীপাড়ায়। রাস্তার পাশে শতবর্ষী কালের সাক্ষী আনোয়ার আলী জামে মসজিদ যা আজ বিলুপ্তির পথে, পাশে সরকারিভাবে নতুন মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। হক ভাইয়ের বেড়ে উঠা কাগজী পাড়ার আল্লাই গ্রামে। তিনি আমার কাছের আতœীয় হওয়াতে ছোটবেলা থেকে নানা বলে ডাকতাম। চশমা চোখে হক ভাইকে একজন আদর্শবান বিজ্ঞ বুদ্ধিজীবীর মত মনে হতো।
ইতিহাসের খসড়া ম্যাগাজিনের সমন্বয় সহকারী হিসেবে কাজ করাতে আমার একজন শিক্ষাগুরু হিসেবে আমি তাঁকে পেয়েছি। লেখালেখির জন্য তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন কিভাবে ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করতে হয়, কিভাবে লিখতে হয়, কিভাবে সাক্ষাৎকার নিতে হয়। ইতিহাসবিদ হক ভাইকে আমার কাছে মনে হয় ইতিহাসের একজন কিংবদন্তী হিসেবে। যার স্মৃতির ঝাঁপির পরতে পরতে রয়েছে সঠিক তথ্য ইতিহাস। কোন তথ্য ভুলে গেলে হক ভাইকে ফোন করলে সমাধান পেতাম। প্রিয় মানুষ হক ভাই একজন শহিদ পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিয়মিত জ্ঞানতাপস হিসেবে তুলে ধরেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি রাজনীতির কবি স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনি এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। গত ৪৫টি বছর ধরে যিনি নীরবে নিভৃতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাঠকদের জন্য লিখে গেছেন। তিনি আর কেউ নন বাংলা একাডেমি পদক প্রাপ্ত আঁরার শামসুল হক ভাই।

ইতিহাস বিশারদ শামসুল হকের জন্মকথা ও পরিবার পরিজন
মুহাম্মদ শামসুল হক ১৮ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে পটিয়া আল্লাই(কাগজীপাড়া) গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা মৌলভি নূরুল হক ও মা নূর খাতুন। মৌলভি নুরুল হকের তিন পুত্র ও তিন কন্যা। ভাইদের মধ্যে সবার ছোটো শামসুল হক। বড়ো ভাই প্রয়াত জাহিদুল হক, মেজো ভাই শহিদ আমিনুল হক। ১৯৭১ সালে পটিয়ায় ১৬ এপ্রিল পাকবাহিনীদের বোমা হামলায় আমিনুল হক নিহত হন। ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোটো শামসুল হক। তাঁর শৈশব কৈশোর বেড়ে উঠা গ্রামে। ১৯৮৯ সালে ৬ জানুয়ারি নিলুফার বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বর্তমানে তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর একমাত্র কন্যা নেহলিন হক ইংরেজি সাহিত্য অধ্যায়ন করছেন। সপরিবারে থাকেন চট্টগ্রামের লালখান বাজারে।
শামসুল হকের কর্মজীবন
পটিয়া আরাকান সড়কের পাশে ছিল নবী সুপার মার্কেট নীচতলায় অভয়বাণী প্রকাশনি নামে ছোট একটা ছাপাখানা দিনের বেলাও মাঝে মাঝে খটাখট খটাখট গড়র গড়র গড়র স্যাঁত স্যাঁত কর কাগজ প্রিন্ট হওয়ার শব্দ আজো কানে বাজে। শামসুল হক ভাই ছোট একটা ট্যাবলয়েড সাইজের সাময়িকী সম্পাদনা করতেন নাম “অভয়বাণী”। ১৯৭৭ সালের দিকে লেখালেখির হাতে-খড়ি দেশবরেণ্য কথাশিল্পী ও প্রাক্তন সাব-রেজিস্ট্রার মাহাবুবুল আলম সম্পাদিত “দৈনিক জমানার” মধ্যেদিয়ে। তিনি পটিয়ায় প্রেসক্লাব, মালঞ্চ সচেতন সাহিত্যগোষ্ঠী, শাপলা কুঁড়ি, খেলাঘরসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগঠনের উদ্যোক্তা-সংগঠকসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে থেকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। শুরুর দিকে কবিতা, ছড়া, ফিচার, প্রবন্ধ, সাংবাদিকতাসহ ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক নিয়ে একের পর এক অনবদ্য ফিচার করে সমগ্র দেশে পরিচিত হয়ে উঠেন একজন পরিচ্ছন্ন সাংবাদিকের মডেল হিসেবে। সাংবাদিকতার উপরে ১৯৭৯ সাল থেকে তাঁর প্রায় ১২টিরও বেশি প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন। এছাড়া একাত্তরের ২৫-২৭ মার্চে চট্টগ্রামের সলিমপুর ও মগবাজার ওয়ারলেস স্টেশন এবং কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা গ্রহণ ও প্রচারে যুক্ত ব্যক্তিদের বিস্তারিত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। প্রতিশ্রুতিশীল লেখক ও গবেষক পটিয়া ক্লাবে মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছেন। পেশাগতভাবে বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক প্রথম আলোতে জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রায় ১৭ বছর নিরলসভাবে কাজ করেন। সাংবাদিকতা করেছেন প্রায় ৪৫ বছর এবং গবেষণা করছেন ৩৫টি বছর ধরে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দৈনিক স্বাধীনতা, নয়াবাংলা, আল-আমিন, সাপ্তাহিক চট্টলা, বার্তাজীবী, একাত্তর, সময়ের আলো, পিআইবি প্রকাশিত নিরীক্ষা, সচিত্র বাংলাদেশ, তথ্য, ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডি প্রকাশিত সংকলন ‘অনস্বর বঙ্গবন্ধু’ ‘মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু’ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পিআইডি কর্তৃক প্রকাশিত ক্রোড়পত্র(২০২১)বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর, সারাবাংলা ডটকমসহ আরো নানা পত্রিকায় প্রায় চারশতেরও বেশি প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সহসভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, একসময় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার চাকুরি ছেড়ে দিয়ে নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করেন ইতিহাস ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক দ্বিমাসিক পত্রিকা “ইতিহাসের খসড়া” নামে পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশ করছেন। সমগ্র বাংলাদেশে ইতিহাস সম্পর্কিত এটি প্রথম পত্রিকা। পত্রিকাটি ইতিহাসাবিদ ও ইতিহাসের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বেশ পাঠক নন্দিত হয়েছে। লেখক ও গবেষক শামসুল হক বর্তমানে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।
প্রিয় এবং অপ্রিয় ঃ- মুহাম্মদ শামসুল হকের প্রিয় শখ ইতিহাস জানা ও লেখালেখি করা। ইতিহাসের প্রিয় বিষয় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ। লেখক হক ভাইকে ছোটোবেলা থেকে দেখেছি সময় পেলে তিনি হয় বই পড়ছেন না হয় লিখছেন। তাঁর আরেকটা গুণের কথা না বললে নয় তিনি একজন সৌখিন রন্ধন শিল্পীও বাসায় মাঝে মাঝে শখের বসে রান্না করেন। প্রিয় খাবার শীতকালীন পিঠাপুলি। অবসরে এবং বিশেষ দিনগুলিতে হেঁশেলে টুক টুক করে পোলাও রান্না করেন। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে স্বচ্ছ মানুষটি সত্য ও সততাকে ভালোবাসেন। অপছন্দ করেন মিথ্যাচার,প্রতিহিংসা,পরনিন্দা, তোষামোদিকে।
লেখক ও গবেষক শামসুল হকের বিষাদ ও আনন্দ স্মৃতি ঃ- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের বোমা হামলায় বড়ো ভাই আমিনুল হক নিহত হওয়ার ঘটনা এবং ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং পরবর্তীতে লেখকের বাবা মৃত্যুর সংবাদ ছিল তাঁর বিষাদের স্মৃতি যা আজো তাঁর হৃদয়কে আন্দোলিত করে। লেখকের সবচেয়ে আনন্দের স্মৃতি প্রথম বাবা হওয়া একমাত্র মেয়ে নেহেলিনের জন্ম এবং বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদ শুনে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছেন।
মুহাম্মদ শামসুল হকের প্রকাশিত গ্রন্থসমুহ ঃ
সাংবাদিকতা ও গবেষণার পাশাপাশি তিনি ছুটেযেতেন দেশের প্রত্যেন্ত অঞ্চলে, সত্যে তথ্য উপাত্ত এবং বিভিন্ন গবেষণাধর্মী বই ও পত্রিকা সংগ্রহসহ প্রত্যেক্ষদর্শী এবং ইতিহাসের নায়ক বিশেষ করে একাত্তরের বীরসেনাদের খুঁজে খুঁজে বের করে সরেজমিনের সাক্ষাতের মাধ্যেমে তুলে এনেছেন সঠিক ইতিহাস। ছোটোবেলা থেকে হক ভাইকে দেখেছি একজন বই পোকা হিসেবে। নিভৃতচারী সহজ সরল শান্ত স্বভাবের বিনয়ী মেধাবী হকভাইকে দেখতাম টুকটুক করে লেখালিখিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। সাগর থেকে যেভাবে ডুবুরিরা নুড়িপাথর থেকে যেভাবে মুক্তা মানিক মূল্যবান পাথর কুড়িয়ে নিয়ে আসতেন ঠিক সেভাবে ইতিহাসের সঠিক তথ্য উপাত্ত খুঁজে বেরিয়েছেন দিনের পর দিন। ১৯৯৬ সালে হক ভাইয়ের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু প্রামাণ্য দলিল, ১৯৯৯ স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতি বেং বেতার ঘোষণার ইতিবৃত্ত, চোখে দেখা ৭১, পর্ব-১ এবং ২, স্বাধীনতার সশস্ত্র প্রস্তুতি আগরতলঅ মামলার অপ্রকাশিত জবানবন্দি, খ্যাতিমানদের নানা রঙের দিনগুলি, স্বাধীনতার বিপ্লব অধ্যায়-বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য ৪৭-৭১, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সঙ্গীরা, একাত্তরের শোকগাথা, যুক্তি তথ্য-প্রমাণ প্রেক্ষাপট বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক, একাত্তরের দুধর্ষ গেরিলা, টুঙ্গিপাড়ার খোকা যেভাবে জাতির পিতাসহ মোট প্রকাশিত ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত বই সমুহ বর্তমানে দেশবরণ্যে ইতিহাসবিদরা রেফারেন্স বই হিসেবে গবেষণা করছে। এছাড়াও তাঁর লেখা প্রবন্ধ নিয়ে বাংলা একাডেমি এবং আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মিলনের সেমিনারে উপস্থাপন হয়েছে। খুব শিঘ্রই প্রকাশিত হবে “বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- প্রতিবাদের চাপা পড়া ইতিহাস”।
কীর্তিমান শামসুল হকের অর্জন ঃ চট্টগ্রামে তিনি বিভিন্ন সময়ে লেখালিখি ও গবেষণার জন্য সামাজিক সংগঠন থেকে গুণিজন সংবর্ধনা ও সম্মাননা পেয়েছেন। গত ২০১৭ সাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত বই প্রতিযোগিতায় “স্বাধীনতার বিপ্লবী অধ্যায় –বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য-৪৭-৭১” গ্রন্থ গবেষণা-সাহিত্যে সেরা গ্রন্থ নির্বাচিত হয় এবং সেরা লেখক-সাংবাদিক পুরস্কার পান। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃক গবেষণায় গৌরবময় অবদান রাখার স্বীকৃতস্বরূপ তাঁকে মহান একুশে স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান করেন। মুহাম্মদ শামসুল হককে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণার জন্য বাংলা একাডেমি-২০২২ পদক প্রদান করেন। একাডেমি পদকপ্রাপ্ত আঁরার গর্ব আঁরার হক ভাই ইতিহাসের পাতায় আপনার জীয়নকাটির আলোয় উদ্ভাসিত হউক আগামীর পথচলা আপনার অগ্রযাত্রায় আমরা অভিভূত ও আনন্দিত। আপনাকে জানাই অভিনন্দন। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবি করুক- আমিন।