ব্যারাকে হামলা চালিয়ে ৬০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহতের দাবি রাশিয়ার, অস্বীকার কিয়েভের

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৬০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। রোববার দনেতস্কের শহর ক্রামাতর্স্কে এই হামলা হয়। হামলার সময় ওই ভবনে ১৩ শতাধিক ইউক্রেনীয় সেনা ছিল। তবে সেনা নিহত হওয়ার এ দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

এর আগে বছরের প্রথম দিন দনেতস্কের মাকিয়েভকা শহরের একটি রুশ ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে রাশিয়ার প্রায় একশ সেনা নিহত হয়। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সবথেকে বড় ট্রাজেডি হয়ে ওঠে মাকিয়েভকা। এবার নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই হামলার মোক্ষম জবাব দিয়েছে তারা। ক্রামাতর্স্ক শহরে ইউক্রেনীয় সেনাদের ব্যারাক উড়িয়ে দিয়েছে তারা। এতে ৬ শতাধিক ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে। খুবই নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাশিয়ার সেনারা এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির ব্যাপারে কিয়েভ সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে ইউক্রেনের সেনা মুখপাত্র চেরহি চেরেভাটি রাশিয়ার এই দাবী নাকচ করেছে। তিনি বলেছেন, এটি হলো রাশিয়ার অপপ্রচার। এর আগে ক্রামাতর্স্ক শহরের মেয়র বলেছিলেন যে, শহরের বিভিন্ন ভবনে রাশিয়ার ব্যাপক হামলা করেছে তবে এতে কেউ নিহত হয়নি।
এদিকে, দনেতস্ক অঞ্চলের শহর সোলেদর দখলে নিয়েছে রাশিয়া। শহরটির ৮০ শতাংশ এলাকাই এখন রাশিয়ার দখলে। এখানে যুদ্ধ করছে রাশিয়ার ওয়াগনারের যোদ্ধারা। ইউক্রেনপন্থী সূত্রগুলোও সোলেদর হারানোর কথা স্বীকার করেছে। ফলে ওই এলাকায় ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন প্রায় তিন কিলোমিটার পিছিয়ে গেলো। গুরুত্বপূর্ণ আর্তেমোভস্ক (বাখমুত) শহর থেকে একদমই কাছাকাছি সোলেদর। বাখমুতের পাশে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রামও রাশিয়ার দখলে এসেছে। তবে শহরের মধ্যে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ লাইন এখনও ভাঙতে পারেনি মস্কোর সেনারা।