যত্রতত্র মেলা, ক্ষতির মুখে শপিং মলের ব্যবসায়ীরা

নগরীর বিভিন্ন খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, হলরুম, অডিটোরিয়াম, পার্ক, ফুটপাতসহ যত্রতত্র বসা বাণিজ্য মেলা শপিং মলের ব্যবসায়ীদের ক্ষতির মুখে ফেলছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দোকান মালিক সমিতির নেতারা। তাদের অভিযোগ, সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে বসা এসব মেলায় মোটা অঙ্কের কর ফাঁকি দিচ্ছে আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে একদিকে যেন নিন্মমানের মালামাল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। তেমনি বছরের পুরো সময়ে মেলায় চলায় লোকসান গুণছে শপিং মলের ব্যবসায়ীরা।

 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাতে নগরীর পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জে অবস্থিত মিল্টন কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও চট্টগ্রাম মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সালামত আলী, সংগঠনের সেক্রেটারী মোঃ ইউসুফ, সহ-সভাপতি আফসার জসিম, ওফেলিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ মডু, সেলিম নুর, নূর উদ্দিন, মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, হুমায়ুন কবির মিতু প্রমুখ।

 

মতবিনিময় সভায় বক্তারা আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ভাইরাস এর পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক মন্দার কারণে ব্যবসা বাণিজ্য এমনিতেই স্থবির হয়ে পড়েছে। ফল শ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা এক প্রকার কোণ ঠাসা হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রামের যত্রতত্র কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল রেস্টুরেন্ট, মাঠে ময়দানে যেভাবে মেলা বসছে তাতে নিম্ন মানের মালামাল বিক্রির হিড়িক লেগেছে। এসব মেলায় বিক্রেতারা সরকারকে কোন প্রকার ভ্যাট, টেক্স প্রদান করছে না। এমনকি ট্রেড লাইসেন্সও নেই অনেকের৷ অথচ দোকান ভাড়া, সালামী, আয়কর, বিভিন্ন দপ্তরের সনদসহ নানা ঝক্কি-ঝামেলায় পোহাতে হয় শপিং মলের ব্যবসায়ীদের। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একের পর বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে মেলা। এভাবে চলতে থাকলে অচিরই ব্যবসায়ীগণ ঋণের ভারে দেউলিয়া হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, নগরীর রাস্তা-ঘাট, ফুটপাতে, ভ্যানগাড়ীতে হকাররা নিম্নমানের মালামাল বিক্রি করছে। এতে গ্রাহকরা নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছেন।

এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট, ইনকাম টেক্স, লেডার অফিস, ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানসহ নানা হয়রানি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও কারণে-অকারণে ভোক্তা অধিকার, ভ্রামমান আদালত যখন-তখন নতুন নতুন অভিযান পরিচালনা করছে।