হাওয়া ভবনে সৃষ্টি কসাই বাহিনীকে কাটগড়ায় দাঁড়াতে হবে: নওফেল

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, হাওয়া ভবন থেকে সৃষ্টি কসাই বাহিনীকে অচিরেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে তারা সারা দেশে ছাত্রলীগ যুবলীগের অসংখ্য দক্ষ সংগঠককে হত্যা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পাঠাগার মহিম উদ্দিন মহিমের ১৮তম শাহাদাত বার্ষিকীর স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

নওফেল বলেন, এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক মহিম উদ্দিনকে বিদেশ থেকে কৌশলে ডেকে এনে নির্মমভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করে হাওয়া ভবনে সৃষ্টি কসাই বাহিনী। এই কসাই বাহিনীর নেপথ্যে যারা ছিল তাদেরকে অচিরেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। মহিমের হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্তদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকার বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। তারা এদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসে ধর্ণা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এসকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের সজাগ ও সচেতন থেকে রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।

মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিমের সভাপতিত্বে ও ওএমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন আবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জননেতা লিয়াকত সিকদার। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈশাখী টেলিভিশনের বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী, সিটি করপরেশনের প্যানেল মেয়র ও শহীদ ছাত্রনেতা মহিম উদ্দিন মহিমের বড়ভাই গিয়াস উদ্দিন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা সরওয়ার মোর্শেদ কচি, জাহাঙ্গীর আলম, আবু সাঈদ সুমন, ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন, ভিপি ইউনুস, জসিম উদ্দিন খোন্দকার, নাজমুল আহসান, বিপ্লব মিত্র, কেন্দ্রীয় যুব লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, হাসান মনসুর, মহানগর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস.এম. সাঈদ সুমন, হাবিব উল্লাহ নাহিদ, শহীদুল ইসলাম শামিম, আসহাব রসূল চৌধুরী জাহেদ, নেছার আহমদ, আছিফুর রহমান মুন্না, রাজিব দত্ত রিংকু, ফারুকুল ইসলাম অঙ্কুর, আব্দুল জলিল বাহাদুর, কাজী আলমগীর, মীর ইমরুল হাসান চৌধুরী রুবেল, শওকত উল্লাহ সোহেল, গোলাম ফোরকান, ওয়ালিদ মিল্টন, ওমর গণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস আরশেদুল আলম বাচ্চু, অসীম বণিক, নুরুল আলম মিয়া, ফজলুল কবির সোহেল, ফখরুল আলম রিপন, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য আলী আবরাহা দুলাল, কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল, কাউন্সিলর মোবারক আলী, কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, রাশেদুল আজিম রাসেল, হাজী ইব্রাহিম, ওসমান গণি আলমগীর, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ মোর্শেদ, হাবিবুর রহমান তারেক, মোসলেহ উদ্দিন আহমদ শিবলী প্রমুখ।