ট্রাস্ট অব হিউম্যান রাইটস্ বাংলাদেশ-এর নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালিত

“সমাজে নারীরা শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পরেও পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না।” দেশে যে হারে নারীরা লাঞ্চিত, অধিকার বঞ্চিত এবং সমাজের অসভ্য মানুষ কর্তৃক নির্যাতিত, হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানির শিকার হয়ে আসছে যা যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা হচ্ছে না। অসংখ্য নারী শিশু কোনো না কোনো কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সমাজে নারীরা শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও পারিবারিক ও সামাজিক নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না । ২৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় লালখান বাজারস্থ ট্রাস্ট অব হিউম্যান রাইটস্ বাংলাদেশ’র নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে সংস্থার চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদা বিলকিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বিশিষ্ট সাংবাদিক কামরুল হুদা একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে নারীরা এখনো গণধষর্ণের শিকারের পাশাপাশি নির্মমভাবে প্রাণ হারাচ্ছে। বিশ্বমানবাধিকার কর্মীদের প্রতি আহ্বান, আমাদের দেশসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সোচ্চার হয়ে আর্ন্তজাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে কাজ করে যাওয়া জরুরি।

ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দি এলিমিনেশন অফ ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইম্যান বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। ২৫ নভেম্বর ১৯৮১ খৃষ্টাব্দের লাতিন আমেরিকায় প্রথমে এ দিবস পালনের ঘোষণা আসে, ১৯৯৩ খৃষ্টাব্দে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটির স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ ১৯৯৯ খৃষ্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে শুরু হয় এ দিবসের কার্যক্রম। ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫দিন বা পক্ষকালব্যাপী এর কার্যক্রম। তারপর শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিশ্বের নানান দেশে নানান ভাবে নির্যাতিত নারীদের সুরক্ষার জন্য পক্ষকালব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে সারা পৃথিবীসহ বাংলাদেশেও।

সংগঠনের মহাসচিব আবদুল্লাহ মজুমদারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকারকর্মী মীর বরকত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, সাংবাদিক সুমন বড়ুয়া, সংগঠক মফিজুল আনোয়ার আরফান, কবি ও সংগঠক অভিলাষ মাহমুদ, সাংবাদিক আমিনুল হক লিটন, সাংবাদিক কাসেম খান, বিকাশ চন্দ্র নাথ ও আমেনা বেগম প্রমূখ