নেইমার কি বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন ?

বিশ্বকাপ ঘিরে নেইমারের ভাগ্য খুব একটা প্রসন্ন নয়। ঘরের মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পিঠে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে স্বপ্নভঙ্গ হয় সেলেসাওদের। এবার হেক্সা মিশনে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই বড় ধাক্কা। গুরুতর ইনজুরিতে পড়েছেন ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার।

স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, সেলেসাওদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন নেইমার। এছাড়া গ্রুপপর্বের সবশেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষেও তাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

সার্বিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর আগামী সোমবার (২৮ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। তবে সে ম্যাচে থাকছেন না নেইমার। এছাড়া গ্রুপ পর্বের শেষ দিন তথা আগামী শুক্রবার ক্যামেরুনের মুখোমুখি হবে তিতের দল। শেষ ষোলোয় ওঠা নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলে, ওই ম্যাচেও পিএসজি তারকাকে খেলানোর পরিকল্পনা দলের নেই বলে জানতে পেরেছে মার্কা।

এদিকে, নেইমারের চোট নিয়ে অনেক গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে। এমনও বলা হচ্ছে, হয়তো বিশ্বকাপই শেষ হয়ে গেছে ব্রাজিল তারকার। তবে সবকিছুই এখনও যদি কিন্তুতে আটকে আছে। ব্রাজিলের তরফে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

 

সার্বিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিল। তবে জয়ের মুহূর্তটা বেশিক্ষণ উদ্‌যাপনের সুযোগ পায়নি তারা। সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন নেইমার। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট বাকি থাকতেই তাকে তুলে নেয়া হয়। তখন দেখা যায়, নেইমারের চোখ ছলছল করছে। ফুলে গেছে পায়ের গোড়ালি।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) খেলার ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়ার আগে নেইমার মোট ৯ বার ফাউলের শিকার হন। এবারের বিশ্বকাপে যা এখন পর্যন্ত কোনো ফুটবলারকে সর্বোচ্চ ফাউল করার রেকর্ড। নেইমার যখন ম্যাচশেষে সাইডবেঞ্চে বসে ছিলেন, তখনই তার চোখেমুখে স্পষ্ট হয়েছে ইনজুরির যন্ত্রণা। দল যখন জয় উদ্‌যাপনের অপেক্ষা করছিল, তখন ব্রাজিলের মেডিকেল টিম তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

ম্যাচশেষে ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লেসমার নেইমারের ইনজুরি নিয়ে বলেছিলেন, ‘নেইমারের ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে। ওই অংশটি ফুলে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে আইস ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। এখন তার ফিজিক্যাল থেরাপি চলছে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পরই জানা যাবে এ চোট কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

 

তবে নেইমারকে নিয়ে বরাবরই আশাবাদী ব্রাজিল কোচ তিতে। তিনি বলেছিলেন, পরের ম্যাচেই খেলতে পারবে সে। এছাড়া নিজের ইনস্টাগ্রামে খোদ নেইমার লিখেছিলেন, ‘বিশ্বাস রাখ। বিশ্বাস করতে হবে, সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে, এমনকি চরম বিশৃঙ্খলার মাঝেও। এটা নিশ্চিত যে, সব ভালো কিছু এখনো আসার বাকি। এটা বুঝতে হবে, সবকিছুর তার নিজস্ব সময় আছে। বিশ্বাস মানুষের ক্ষমতার বাইরে। আমরা আসতে পারি না, কিন্তু অনুভব করতে পারি।’