আমার পুরো পরিবার ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থক -তানিয়া আহমেদ

এবার বিশ্বকাপ নিয়ে উচ্ছ্বাস একটু কম। কারণ আমার বড় ছেলে শ্রেয়াস ফুটবল পাগল। বর্তমানে সে আমেরিকায় সেটেল। সে যদি এ সময় দেশে থাকতো তাহলে বিশাল আয়োজন থাকতো বিশ্বকাপকে ঘিরে আমার বাসায়। আমার প্রিয় দল ব্রাজিল। আমার ছোট ছেলে বাস্কেটবল প্লেয়ার। সত্যি বলতে কী আমার শৈশব বেড়ে ওঠা পুরনো ঢাকায়। বিশ্বকাপকে ঘিরে ওই সময় পুরো এলাকা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পতাকা দিয়ে সাজানো হতো। উৎসবমুখর হয়ে উঠতো। মহল্লায় মহল্লায় বিশেষ ব্যবস্থায় প্রজেক্টরে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হতো।

সিনিয়র-জুনিয়ররা একসঙ্গে বসে ক্লাবগুলোতে খেলা উপভোগ করতো। উত্তরায় আসার পর থেকে বঞ্চিত হচ্ছি পুরনো ঢাকার সে আনন্দ থেকে। আমার ছোট ছেলে বিশ্বকাপে জার্মানিকে সাপোর্ট করছে। আমার পুরো পরিবার ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থক। খেলার সময় মিষ্টি মধুর তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে। তার সঙ্গে কফি, ফুচকা, ভাজাপোড়া খাবার ধুমসে চলে। পুরনো ঢাকার আমার এক বান্ধবী তার এলাকার বিশ্বকাপকে ঘিরে সাজ শয্যার ভিডিও আমাকে পাঠিয়েছে। পুরো এলাকা প্রিয় দলের ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা দিয়ে রঙিন হয়ে উঠেছে। আমার আরেক বান্ধবী বিশ্বকাপের অংশগ্রহণকারী সবগুলোর পোস্টার দিয়ে তার ঘর সাজিয়েছে। ফাইনাল খেলা সব বান্ধবী মিলে উপভোগ করবো। যদিও শুটিং এর ব্যস্ততার দরুণ হয়তো সবগুলো খেলা দেখা হবে না। তবে এবার বিশ্বকাপের ট্রফি ব্রাজিলের হাতেই শোভা পাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।