চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় প্রবল বৃষ্টি

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বর্ষণ শুরু হয়েছে। রাতভর ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমানে দেশের ওপর দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ক্রান্তিয় বৃষ্টি বলয় সক্রিয় আছে, যেটা আগামী ২৮ মে পর্যন্ত দেশের সক্রিয় থাকতে পারে।

টানা তাবদাহে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জনজীবনে দারুণ অস্বস্তি বিরাজ করছিল। রোজার মাসে অসহ্য গরম বেশ ভুগিয়েছে। মাঝে মাঝে আসা হটাৎ বৃষ্টি জুড়োতে পারেনি চট্টগ্রামবাসীর মন। তবে আজ জুমার নামাজের পর থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি স্বস্তি এনেছে রোজাদারদের মাঝে। শীত শীত অনুভূতিতে মোটামুটি ভালোই আছেন চট্টগ্রামের রোজাদারেরা।

আজ সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় সিলেট, ঢাকার পূর্বাংশ ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশকিছু অংশে ভাড়ী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা সুজিত কান্তি বলেন, ‘বৈশাখ শেষে বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। দেশের ওপর দিয়ে পূর্ণাঙ্গ ক্রান্তীয় বৃষ্টি বলয় সক্রিয় থাকায় এ বৃষ্টি হচ্ছে।’

বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় স্বাভাবিকের চাইতে কম বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে বৃহস্পতিবার ভোররোত থেকে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় একটানা ঘণ্টা দুয়েক বৃষ্টি হয়। আজ সকাল থেকে কখনও হালকা, কখনও ভারী আকারে বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে এই অবস্থায় পাহাড় ধসসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমতে শুরু করেছে। পানিতে যানবাহন আটকে পড়ায় ইফতারের আগ মুহূর্তে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বাসায় ফিরার পথে মাহাতাব চৌধুরী বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই চকবাজার-বাকলিয়ায় পর্যন্ত হাঁটু পানি জমে গেছে। এতে যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। তবে রমজানে এমন বৃষ্টি মানুষের ক্লান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।

মুরাদপুরে ফাতিমা নারগিস বলেন সব নালা জ্যাম হযে পনি জমে গেছে মনে হয়, নালার আবর্জনাগুলো সড়কের ওপর জমিয়ে রাখা হয়। বৃষ্টির পানিতে আবর্জনা আবার নালায় পড়ে জ্যাম হয়ে যায়। দ্রুত নালা গুলো পরিষ্কার করা জরুরী।