প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত যশোর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোর যাচ্ছেন। দুই বছরের বেশি সময় পর রাজধানীর বাইরে তার এই সফর উপলক্ষে যশোর সেজেছে বর্ণাঢ্য সাজে। পাঁচ বছর পর যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যশোর উন্নয়নের প্রস্তাবনা থাকবে বলে স্থানীয় নোতারা জানিয়েছেন।

১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একই স্টেডিয়ামে সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তার প্রায় ৫০ বছর পর তার কন্যা সেখানে ভাষণ দেবেন। এ কারণে এ সমাবেশকে ঐতিহাসিক বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ জানান, দলের সভাপতি ও দেশের উন্নয়নে সফল প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উৎসবের আমেজ যশোরে। নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উৎসাহ। নানান সাজে সাজানো হচ্ছে যশোরকে। লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

তিনি বলেন, সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যশোরসহ খুলনা বিভাগের প্রতি জেলা থেকে ব্যাপক নেতা-কর্মীর সমাবেশ ঘটবে এ দিন যশোরে।

চালানো হচ্ছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও এ প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছেন। তারা এখন যশোরে অবস্থান করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, মঞ্চ সাজানো হয়েছে লাল গালিচা দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী যে পথ দিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করবেন সেই পথ থেকে শুরু করে মঞ্চ পর্যন্ত লাল গালিচায় মুড়ে দেয়া হয়েছে। মঞ্চের ব্যাক স্ক্রিন করা হচ্ছে চারুকলার ছাত্রদের দিয়ে।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী আবহাওয়া নিয়েই যশোর দিয়ে শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভা শুরু হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে যশোর কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর যশোর আগমন উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে জেলা পুলিশের আয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুলিশের এক বার্তায় জানানো হয়েছে, প্যারেডে সভাপত্বি করেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। এ সময় তিনি বলেন, যশোর জেলা ইতোমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছে।

যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য (যশোর-৩) কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, যশোরবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশা পূরণ করবেন। তিনি যশোর জেলাকে ইতোমধ্যে অনেক কিছু দিয়েছেন। আমাদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন, মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন, ভৈরব নদ তিনি খনন করা শুরু করেছেন, এখানে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার আইটি পার্ক তিনি দিয়েছেন।

যশোরকে বিভাগ করা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি উল্লেখ করে কাজী নাবিল বলেন, শহরকে সিটি কর্পোরেশন করা, ৫শ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করা, ভৈরব নদের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা – সকল দাবি আমরা যশোরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব। আমরা আশা করব তিনি সেগুলো বিবেচনা সাপেক্ষে গ্রহণ করবেন এবং আগামীতে সেটা বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাব।