ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২৬৮, নিখোঁজ আরও দেড়শ

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮তে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এখনও দেড়শ জন নিখোঁজ রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা এজেন্সির বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, গত সোমবার ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভার পার্বত্য এলাকায় আঘাত হানে। এর ফলে যে ভূমি ধস হয় তাতে কোথাও কোথাও পুরো গ্রাম মাটি চাপা পড়েছে। কমপক্ষে ২২ হাজার বাড়ি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে এবং ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন ।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সি বলছে, নিহতদের অনেকেই শিশু। তারা দুপুর একটায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় স্কুলে ছিল। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোক। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া দেশটি অবস্থিত।

একে বলা হয় রিং অব ফায়ার। এ দেশটিতে আগেও বহুবার মারাত্মক কিছু ভূমিকম্পও সুনামি হয়েছে । সবশেষ ২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি ভূমিকম্পে দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়।
সোমবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ৬ মাইল নিচে। প্রথম দফার পর অনেকগুলো ছোট ছোট ভূকম্পন হয়। এতে দুর্বল কাঠামোর বাড়িঘরগুলো ভেঙে পড়ে। প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো ভূমিকম্প উপদ্রুত একটি প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রিক্টার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটির আঘাতের কেন্দ্র ছিল ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চিয়ানজুর। চিয়ানজুর থেকে ১০০ কিমি দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও প্রায় এক মিনিট ধরে বেশ জোরে ভূকম্পন অনুভূত হয়। সেসময় রাজধানীর উঁচু ভবনগুলো থেকে আতঙ্কে মানুষজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে বিধ্বস্ত বহু বাড়িঘর এবং দোকানপাট দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি হাসপাতাল এবং একটি আবাসিক মাদ্রাসাও রয়েছে। ভূকম্পটি মূলত যে অঞ্চলে আঘাত করেছে সেগুলো বেশ ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা ছিল।