ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ এখন দিশেহারা

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এক জালিম সরকারের শাসনে বসবাস করছে। মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা। জনগণের প্রতিবাদ বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিন্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ এখন দিশেহারা। তাই তারা মরন কামড় দিচ্ছে। বিনাভোটে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী সরকার এখন বেপরোয়া। কিন্তু এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সকল স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান সরকারকেও তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জনগণের আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের মসনদ অতলে তলিয়ে যাবে।

তিনি মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কেন্দ্রঘোষিত এই সমাবেশের আয়োজন করে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার জোর করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা বিগত ১৪ বছরে বাংলাদেশের সমস্ত সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে। দেশের রাজনীতিকে নষ্ট করেছে। তারা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। আজকে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের পেছনে রয়েছে তাদের চুরি। তারা এমন চুরি করেছে যে, দেশ আজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে। আওয়ামীলীগ দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র, ডলার ও রিজার্ভ গিলে খেয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামী সরকার প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে তারা। এই পুলিশ ও মাস্তানরাই বিএনপির মিছিলে হামলা করছে। বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের গুলি করছে। সারাদেশে আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীকে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে এখন বর্তমান অবৈধ সরকারের আদিম হিংস্রতা শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো- আওয়ামী গুণ্ডাশাহীর রাজত্ব কত ভয়ংকর। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আওয়ামী পুলিশ বাহিনীর পৈশাচিক এই হামলায় ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহত হয়েছে। সরকারের কুকীর্তি আড়াল করতে না পেরে শেখ হাসিনা বেপরোয়া ডাকাততন্ত্র চালু করেছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিকদলের শামসুল আলম (ডক), মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী,থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, আবদুস সাত্তার সেলিম, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইসমাইল বালী, এস এম মুফিজ উল্লাহ, জমির আহমদ, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, হুমায়ুন কবির সোহেল, মো. আসলাম, মো. হারুন, এড, এফ এ সেলিম, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, হাজী এমরান উদ্দীন, ফরিদুল আলম চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মনজুর কাদের প্রমুখ।