দেশের মানুষকে গরীব বানিয়ে দিয়েছে সরকার

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বাজারে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, চিনি, ময়দা, তেলের মূল্য আবারও বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে কোন না কোন পণ্যের দাম। এমন লাগামহীনভাবে দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকার আজকে বাংলাদেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে গেছে যে মানুষ আর বাঁচার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। বেঁচে থাকার জন্য যে ন্যূনতম খাবার প্রয়োজন সেটাও কিনতে পারছে না। সরকার দেশের মানুষকে গরীব বানিয়ে দিয়েছে। মানুষের নিরাপত্তাও নেই। আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তারা মানুষের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। গণতন্ত্রের মোড়কে সেই একদলীয় শাসনব্যবস্থাই চালু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতাদের দুর্নীতি। আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারনেই দেশ আজ দুর্ভিক্ষের কবলে। তিনি নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য সাধারণ জনগণকে রাজপথে আন্দোলনে নামার আহবান জানান। তিনি শনিবার (১৯ নভেম্বর) মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, ময়দা, তেল সহ প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাটানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই শতকে সভ্যতার সবচেয়ে বড় সংকট সৃষ্টি করেছে আওয়ামী সরকার। এরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আদিম হিংস্রতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশের মানুষ না খেয়ে আছে, আর সরকার উন্নয়নসহ নানা ধরনের মন ভুলানো কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ আধপেট খেয়ে দিন যাপন করছে। শুধু নিম্ন ও মধ্যবর্তী মানুষ নয় সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাও টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। এতে বুঝা যাচ্ছে শুধু দুর্ভিক্ষের ছায়া না, দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা সরকারের নেই। সরকার হরিলুট ও দুর্নীতির আদর্শে অনুপ্রাণিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের যে ক্রোধ তা থেকে সরকার রক্ষা পাবে না। বাজার সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হচ্ছে মন্তব্য করে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে না। ব্যবসায়ীরা যা দাবী করে তা ই দিয়ে দিচ্ছে। রাস্তায় টিসিবির লাইনে উপচে পড়া ভিড়, কারণ মানুষ চাচ্ছে কম দামে কিছু পেতে। সেখানে দেখা যায় ২/৩ ঘণ্টা পর আর কিছু নেই, মানুষ খালি হাতে বাসায় ফিরে যাচ্ছে। আজকে প্রত্যেকটি জায়গায় সিন্ডিকেট মাফিয়ারা নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বানিজ্য মন্ত্রীতো বলেই দিয়েছেন ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের কিছইু করার নেই’। তার এমন বক্তব্যেই বোঝা যায়- দেশ আওয়ামীলীগ চালাচ্ছে না, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি। মন্ত্রীর যখন কিছুই করার নেই তাহলে দেশ চালায় কে ? বানিজ্য মন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতির পক্ষে জোরালো সাফাই ছাড়া কিছু নয়। কর্মহীন, অর্ধাহার, অনাহারক্লিষ্ট মানুষের প্রতি এটি মন্ত্রীর নিষ্ঠুর রসিকতা। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের টুঁটি চেপে ধরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই সরকার একটি মামলাবাজ সরকার। তারা গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে অন্যায়ভাবে গৃহবন্দী করে রেখেছে। এ মামলাবাজ সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশের মানুষ মানুষের জুলুম নির্যাতন শেষ হবে না। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ত্রণে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এজন্য আন্দোলন প্রয়োজন।