আওয়ামী দুঃশাসন এখন ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসন এখন ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা যেন ওদের খেলায় পরিণত হয়েছে। এই খেলার কথা তারা কিছুদিন আগেই ঘোষণা দিয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী ও সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিএনপি’র কর্মসূচি প্রতিহতের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এই খেলার পরিণতি এখন দেশব্যাপী দেখা যাচ্ছে। সরকারের নির্যাতনের মাত্রা এখন বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও শাসকদলের ক্যাডারদের বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘোষণা দিয়েই বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে সরকার। তারা বাংলাদেশকে এখন বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে।

তিনি বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে কাজীর দেউরী মোড়ে সারাদেশে বিএনপির সমাবেশে পুলিশী হামলায় নিহত ৫ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত শোক র‌্যালী পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

শোক র‌্যালীটি কাজীর দেউরী মোড় থেকে শুরু হয়ে নুর আহম্মদ সড়ক, নেভাল মোড়, লাভ লেইন হয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের লুটপাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দেশের মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নব্য ডিজিটাল একদলীয় শাসনের নমুনা। বিএনপি আজ যৌক্তিক আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে। হারানো গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে আমাদের ৫ ভাই শহীদ হয়েছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিকদের মুখ
বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করা যাবে না। আওয়ামী দু:শাসনের বিরুদ্ধে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামের জন্য চট্টগ্রামবাসী প্রস্তুত।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, মো. সেকান্দর, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নুর হোসাইন, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, দিদারুল আলম, আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, রন্জিত বড়ূয়া, আজাদ বাঙ্গালি, আবু মুছা, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, ইউছুপ শিকদার, জেসমিনা খানম, মহানগর  কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, এস এম ফরিদুল আলম, মো. আসলাম, মোশারফ জামাল, খাজা আলাউদ্দিন, আজম উদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, সৈয়দ আবুল বশর, জসিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন আরজু, জিয়াউর রহমান জিয়া, হাজী মো. জাহেদ, মনজুর কাদের প্রমূখ।