সময় মতো অবসর না নিলে বেঞ্চেই সময় কাটবে: রোনালদোকে সাবেক রিয়াল তারকা

বয়সটাকে সংখ্যার হিসেবে আটকে রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৩৭ বছর বয়সে এসেও আকর্ষণীয় ফিটনেস পর্তুগিজ সুপারস্টার। দুর্দান্ত ফিজিক থাকলেও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স সায় দিচ্ছে না সিআরসেভেনকে। যেকারণে অনেক সাবেক বর্তমান খেলোয়াড়ই রোনালদোকে বুট জোড়া গুটিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যান্তোনিও কাসানোর মতে, সময় মতো অবসর না নিলে বেঞ্চে বসেই সময় কাটাতে হবে রোনালদোকে।

২০২১-২২ মৌসুমে দারুণ ছন্দ দেখিয়েছেন রোনালদো। দ্বিতীয়বারের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়ে মৌসুমে ক্লাবের সর্বোচ্চ স্কোরার হন তিনি। সমর্থকদের ভোটে ম্যানইউর মৌসুম সেরা খেলোয়াড়রও নির্বাচিত হন তিনি। তবে নতুন মৌসুমে এরিক টেন হাগের অধীনে নিষ্প্রভ রোনালদো। নতুন কোচের গেম প্ল্যানেও অনিয়মিত বিশ্বসেরা তারকা। আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাওয়ার আগে প্রিমিয়ার লীগে ৬ ম্যাচের মাত্র ১টিতে পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ হয়েছে রোনালদোর।

সে ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৪-০ গোলে হারে ম্যানইউ। বাকি ম্যাচগুলোতে বদলি হিসেবে মাঠে নামলেও কোনো গোলের দেখা পাননি এই ফরোয়ার্ড। চলতি মৌসুমে ৮ ম্যাচ খেলে একটি গোল পেয়েছেন রোনালদো। ইউরোপা লীগের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে স্কোর করেন তিনি। জাতীয় দলেও ছন্দহীন রোনালদো।
এক সাক্ষাৎকারে কাসানো বলেন, ‘এই পর্যায়ে ক্রিস্টিয়ানোর (রোনালদো) উচিত নিজেকে ভালোবাসা, নিজের প্রতি দয়া করা। বুঝতে হবে যে নির্দিষ্ট একটি পর্যায়ে যেতে না পারলে তার অবশ্যই ক্যারিয়ারের ইতি টানা উচিত। সে সবকিছু জিতেছে। সে দারুণ। তবে এখন অবসর নেয়ার সময় হয়েছে। নয়তো কেবল বেঞ্চেই সময় কাটাতে হবে।’

রোনালদোর প্রতি সম্মান থাকলেও কাসানোর পছন্দের খেলোয়াড় মেসি, ‘সিআর সেভেনের প্রতি আমার অনেক সম্মান আছে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে আমি তাকে পছন্দ করি না। আর মেসি হচ্ছে ম্যারাডোনার মতো। ১৪ বছর বয়সে তাকে আর্জেন্টিনা ছাড়তে হয়েছিল এবং মারাত্মক শারীরিক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। যা তার ত্যাগের কথা বলে।’

২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৯ ম্যাচ খেলেছেন অ্যান্তোনিও কাসানো। ২০০৮ সালে ইতালিয়ান সিরি আ’র দল সাম্পদোরিয়ায় যোগ দেন তিনি। আর রোনালদো ম্যানইউ ছেড়ে ২০০৯ সালে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। অর্থাৎ, একই ক্লাবের জার্সি পরলেও রোনালদো-কাসানো সতীর্থ ছিলেন না।