যান্ত্রিক ত্রুটি: শেষ মুহূর্তে স্থগিত চাঁদে নাসার নতুন মিশন

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে তাদের বহু প্রতীক্ষিত আর্টেমিস ওয়ান রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন শেষ মুহুর্তে স্থগিত করেছে। পঞ্চাশ বছরের বিরতির পর নাসা আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য এই উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি নিয়েছিল। নাসা এখন বলছে, তাদের আর্টেমিস রকেটের একটি ইঞ্জিনে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। মিশনের আগে সেটিকে মেরামত করার সময় পাওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, আগামি ২রা সেপ্টেম্বর আবারও নতুন করে এই রকেট উৎক্ষেপনের দিন ঠিক করা হয়েছে। নাসার আর্টেমিস মিশন মানুষের মহাকাশ অভিযানে এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। নাসা দীর্ঘদিন ধরে এ দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু এই এসএলএস বা স্পেস লঞ্চিং সিস্টেমের ট্যাঙ্কে একটি ফাটল পাওয়া যায়। ফলে যে সময়ে লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল, তাতে দেরী হয়।
এসএলএসের ইন্টার ট্যাংক হচ্ছে রকেটের একটি অংশ যা তরল হাইড্রোজেন এবং তরল অক্সিজেন ট্যাঙ্কগুলিকে সংযুক্ত করে। এছাড়া এসএলএস-এর চারটি বিশাল আরএস-২৫ ইঞ্জিন রয়েছে, তার একটিতেও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

রকেট ছোঁড়ার যে সময়টি ঠিক করা হয়েছিল সেই কাউন্ট ডাউনের আগে নাসার ইঞ্জিনিয়াররা সেটা মেরামতের প্রাণান্তকর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়নি।
এরপরই নাসার রকেট লঞ্চ বিষয়ক পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-টম্পসন ইঞ্জিনের সমস্যার কারণ দেখিয়ে আর্টেমিস-ওয়ানের পরিকল্পিত লঞ্চটি বাতিল করেন। চাঁদে শেষ বারের মতো মানবজাতির অবতরণের পঞ্চাশ বছর পর আবার মানুষকে চন্দ্রপৃষ্ঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই প্রকল্পটির নাম আর্টেমিস। এই রকেট একটি ক্যাপসুল বহন করবে। এই ক্যাপসুলের নাম ওরাইয়ন। এই ওরাইয়ন চাঁদের চারপাশে পরিভ্রমণ করবে। তবে এই যাত্রায় কোন মানুষ থাকবে না। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলে পরবর্তী মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা যোগ দেবেন।