চট্টগ্রামে স্বর্ণের দোকানে দুধর্ষ চুরির ঘটনায় মামলা

হালিশহর থানার নয়া বাজারের সুলতান চৌধুরী মার্কেটের বৈশাখী সাজ জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাতে জুয়েলার্সের মালিক সেন্টু ধর বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ আগস্ট রাতে স্বর্ণের দোকানের কাজ শেষে ২টি লোহার কলাপসিবল গেইট, ২টি লোহার গ্রিলে তালা লাগিয়ে বাসায় চলে যাই। পরদিন দুপুরে দোকানের সামনের ২টি কলাপসিবল গেইট খুলে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, ১টি লোহার সিন্দুক ভাঙা, সিন্দুকে থাকা স্বর্ণালংকার নেই এবং দোকানের পেছনে ২টি লোহার গ্রিল দেওয়াল থেকে ভাঙা ও সিসি ক্যামেরার তার কাটা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমাকে অবগত করলে দোকানে এসে এসব দৃশ্য দেখতে পাই।

বৈশাখী সাজ জুয়েলার্সের মালিক সেন্টু ধর বলেন, দোকানের লোহার কলাপসিবল গেইট ভাঙা এবং একটি সিন্দুকের তালা ভাঙা ও সিন্দুক খোলা এবং সিন্দুকের ভেতর রক্ষিত (বন্ধক গ্রাহকের অভাবী ও মেরামতিসহ) স্বর্ণের ২০টি নেকলেস, ৮ জোড়া স্বর্ণের চুড়ি, ৪ জোড়া স্বর্ণের হাতের বালা, ৪ জোড়া স্বর্ণের হাতের ব্রেসলেট, ২০ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ২৫ জোড়া স্বর্ণের কান বালা, ৪০টি স্বর্ণের আংটি-পাথরসহ ২৪টি স্বর্ণের গলার চেইন, ৩০ জোড়া স্বর্ণের নথ রিং, সর্বমোট ৯০ ভরি স্বর্ণাংলকার চুরি হয়। এসবের বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে স্বর্ণ বিক্রিত নগদ ৫ লাখ টাকা চুরি হয়। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখি, অজ্ঞাতনামা দুইজন চোর দোকানে ঢুকে চুরি করে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করি। চুরির ঘটনায় আমি স্বর্ণ-চাঁদি ও টাকা উদ্ধারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির উদ্দিন বলেন, স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় দোকানের মালিক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আমরা সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছি। আসামিদের গ্রেফতারে আমদের চেষ্টা চলছে।