পাকিস্তানে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে সমালোচনা জারদারি ও নওয়াজ শরীফের

পেট্রোল সহ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সুপ্রিমো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও জোটের শক্তিশালী অংশীদার পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সহ-সভাপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য সোমবার রাতে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম সরকার বাড়িয়েছে ৬.৭২ রুপি। ফলে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম এখন ২৩৩.৯১ রুপি। অন্যদিকে ডিজেলের দাম বাড়িয়ে লিটারে করা হয়েছে ২৪৪.৪৪ রুপি। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের ভিতরকার ওই দুই নেতা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ ও ডন।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে এবং পাকিস্তানি রুপির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। তা সত্ত্বেও তেলের দাম বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছেন আসিফ আলি জারদারি। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারের অংশীদার ও সমর্থক পিপিপি। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে অবশ্যই পরামর্শ করা উচিত ছিল। তার ভাষায়, আমরা সরকারের এসেছি জনগণকে স্বস্তি দিতে।

সেটাই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছি এবং তার সঙ্গে শিগগিরই সাক্ষাত করবো। কথা বলবো অর্থনৈতিক টিম নিয়ে।
ওদিকে সরকারের এ সিদ্ধান্তে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। তারা মনে করেন, বিশ^বাজারে তেলের দাম অব্যাহতভাবে কমছে। কিন্তু পাকিস্তানে এই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অবস্থায় একজন টুইটার ব্যবহারকারী পিএমএলএনের মরিয়ম নওয়াজকে ট্যাগ করে তাকে অনুরোধ করেছেন যেন তিনি মিয়া নওয়াজ শরীফের সঙ্গে কথা বলেন এবং পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন। জবাবে মরিয়ম বলেছেন, মিয়া সাহেব দৃঢ়তার সঙ্গে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের কাঁধে আর এক পয়সাও চাপিয়ে দেয়া সহ্য করতে পারছি না। মরিয়ম বলেছেন তার পিতা নওয়াজ সরকারি কোনো বোর্ডে নেই।

এর জবাবে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল। এতে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। বলেন, জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না এমন কথা তিনি বলেন নি কখনো। তবে তিনি পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্যের ওপর আর শুল্ক আরোপ করবেন না, এ কথা বলেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তের পাশে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নিয়ে অবস্থান আমার। আমার অজ্ঞাতে কোনো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না।
পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, পিপিপির নেতৃত্বের প্রতি মার শ্রদ্ধা আছে। তিনি জ্বালানির দাম নিয়ে যে আপত্তি উত্থাপন করেছেন, তা সমাধানের চেষ্টা করবেন।