খুঁজে পাওয়া গেছে সেই জানে আলম হত্যা মামলার নথি!

লোহাগাড়া থানার জানে আলম হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন আবুল কাশেম। তার খালাস পাওয়ার আদেশ যথাসময়েই উচ্চ আদালত থেকে পৌঁছেছে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে।

কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেনি সেই আদেশের কপি। অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে খুঁজে পাওয়া গেছে জানে আলম হত্যা মামলার নথি। আবুল কাশেম, লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা আমিরখান চৌধুরী পাড়ার বেলায়েত আলীর ছেলে।
এর আগে গত বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে বিনা দোষে কারাগারে কনডেম সেলে ৭ বছর! বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এরপর আদালত লিখিত আবেদন করতে বলেন। পরে একই দিন মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাটির বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ লোহাগাড়ায় জানে আলম হত্যা মামলায় থেকে খালাসের পরও সাত বছর ধরে কনডেম সেলে থাকা আবুল কাশেমের বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

আবুল কাশেমের আইনজীবী সেলিম উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বেঞ্চ সহকারী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে আবুল কাশেমের খালাসের বিষয়টি ক্লিয়ার করে মহামান্য হাইকোর্টের সম্পূরক আদেশের কপি খুঁজে পেয়েছেন।

মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ মোরশেদ আমাকে জানিয়েন, মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা মহোদয় বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থেকে এই বিষয়ে তিনি অত্যন্ত সিরিয়াস। এই বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমি চাই ভবিষ্যতে যাতে অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন সেহেতু এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা সমীচীন হবে না। কাশেমের মুক্তি পরোয়ানার বিষয়ে আদালতে সোমবার (৮ আগস্ট) শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

জানে আলম হত্যা মামলার নথির বিষয়ে আদালতের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর দিনমনি দে’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারী নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।