ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়লো চীনের রকেট, দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে নাসার ক্ষোভ

আবারও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ চীনের। দেশটির পাঠানো একটি রকেট শনিবার ভেঙে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এর ধংস্তুপ পড়ে ভারত মহাসাগরে। এ থেকে হতে পারতো বড় দূর্ঘটনাও। কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এতো বড় ঘটনাটি চেপে গেছে বেইজিং। তারা কাউকে সাবধান করাতো দূরে থাক, সামান্য তথ্যও শেয়ার করেনি এ বিষয়ে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খবরে জানানো হয়, শনিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে রকেটের ভাঙা অংশগুলো পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। এরপরই চীনের সমালোচনায় নামে নাসা। এই রকেটের অংশগুলো কোথায় পড়তে পারে সে বিষয়ে দেশটি কোনো তথ্যই প্রকাশ করেনি। নাসা পরিচালক বিল নেলসন বলেন, যেসব দেশ মহাকাশে রকেট পাঠাচ্ছে তাদের উচিৎ সেরা চর্চাগুলো ধরে রাখা।

দূর্ঘটনার পর এর ধ্বংস হয়ে যাওয়া টুকরোগুলো কোথায় পড়বে তা সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করা। পৃথিবীতে থাকা মানুষদের নিরাপত্তার জন্য এবং নিরাপদ মহাকাশ অভিযানের জন্য এটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎই দেখা যায়, রাতের আকাশে আতসবাজির মতো আলোর ফুলকি। সেটা যত পৃথিবীর মাটির কাছে আসতে থাকে, ততই মনে হয় বুঝি আচমকাই উল্কাপাত হচ্ছে। রাতেই এশিয়াবাসী বেশ কিছু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল, নীল, হলুদ, কমলা রঙের আলোর ছবি দিয়ে লেখেন উল্কাপাত হচ্ছে। আসলে ওটি ছিল বিশাল মাপের চীনা রকেট। আগে থেকেই ওই রকেটটি মহাকাশে ঘুরে ঘুরতে পৃথিবীর দিকে ফিরছিল। কিন্তু, বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরই তার ওজনের কারণে সেটি ভেঙে পড়ে ভারত মহাসাগরের উপরে। যতদূর জানা যাচ্ছে, সেটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের কাছাকাছি পড়েছে। তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রকেটটি পুরোপুরি ছাই হয়ে যায়নি। সমুদ্রে তার টুকরো মিলতে পারে।

রকেটটির প্রধান ইঞ্জিনের ওজন প্রায় ২২.৫ টন। এটিকে পৃথিবীতে পড়তে দেয়া হলো কেনো তার সমালোচনা করেছে লস অ্যাঞ্জেলসের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অ্যারোস্পেস কর্প। এ ধরণের রকেট শত শত কিলোমিটার জুড়ে ভেঙে পড়তে পারে। যদিও এ নিয়ে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীন দূতাবাস কোনো মন্তব্য করেনি।