সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে স্বাগত জানানোয় সমালোচিত ইমানুয়েল ম্যাক্রন

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সকে নিয়ে এবার সমালোচনার উত্তাপে পড়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। প্রায় চার বছর আগে তুরস্কে হত্যা করা হয় সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। ওই হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্সের সম্পৃক্ততা আছে বলে অভিযোগ আছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। খাসোগিকে হত্যার পর এই প্রথমবার ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সময়ে প্যারিসে তাকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক তেল উৎপাদনকারী সৌদি আরবের মূল শাসক প্রিন্স মোহাম্মদ বুধবার রাতে পৌঁছেছেন ওরলি বিমানবন্দরে। এর আগে তাকে গ্রিসে লাল গালিটা সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। ওরলি বিমানবন্দরে তাকে অভিনন্দন জানান ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লি মেইর। আজ বৃহস্পতিবার তাকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সরকারি বাসভবন এলিজি প্রাসাদে স্বাগত জানানোর কথা।

তাকে সেখানে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সময় তিনি সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানাতে পারেন।
প্রিন্স মোহাম্মদকে ফ্রান্সে সফরের আমন্ত্রণ জানানোর কড়া সমালোচনা করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, প্রিন্স মোহাম্মদের ফ্রান্স সফর এবং জো বাইডেনের সৌদি আরব সফরের মধ্য দিয়ে সত্য বদলে যাবে না যে, তিনি একজন খুনি ছাড়া অন্য কিছু। অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ৩৬ বছর বয়সী ক্রাউন প্রিন্সকে এমন একজন মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যিনি ভিন্ন মতাবলম্বীদের সহ্য করেন না।

ফ্রান্সে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রধান বেনেডিক্ট জিনারোড টুইটে বলেছেন, নিষ্ঠুরভাবে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা সত্ত্বেও এই সফরের মাধ্যমে ক্রাউন প্রিন্স তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুনর্বাসনের জন্য ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে ব্যবহার করতে পারেন।
সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের বিরোধী দল গ্রিন পার্টির প্রধান জুলিয়েন বেউ। তিনি বলেছেন, ফ্রান্স বিশ্বে তার মানবাধিকার রক্ষার ধারণা পুরোপুরি ত্যাগ করেছে। এতে তিনি হতাশ হয়েছেন। তার ভাষায়- আমাদের তেল দরকার। তাই লাল গালিচা বিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার অর্থ হলো আমরা আমাদের মূলনীতিকে সস্তায় বিক্রি করে দিচ্ছি।
সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এনজিও ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ, ওপেন সোসাইটি জাস্টিস ইনিশিয়েটিভ।