‘আমরা নতুন মুখ চেয়েছিলাম, এতদিনের আন্দোলন ব্যর্থ হলো’

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রণিল বিক্রমাসিংহে। এ নিয়ে একদমই খুশি নন দেশটির আন্দোলনকারীরা। বিষয়টি নিয়ে সামনেই বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার খবরে বুধবারই এক দফা বিক্ষোভ করেছেন এ বছরের প্রথম থেকে রাস্তায় থাকায় আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, তারা দেশের ক্ষমতায় থাকা মানুষদের সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব দেখতে চেয়েছেন, কিন্তু রণিল বিক্রমাসিংহে সেই রাজাপাকসেদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের নেতারা কোনোভাবেই রণিলকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানবেন না। যদিও গত মে মাস থেকেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে বেশ কিছু প্রচেষ্টাও গ্রহণ করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। তারপরেও বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের শিকার হতে হয়েছে তাকে। হামলা হয়েছে তার সরকারি দপ্তর ও বাসভবনে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তার নিজের বাড়ি।

এই একই আন্দোলনকারীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসেকেও দেশ ছাড়া করে।

বিদেশেই পদত্যাগে বাধ্য হন রাজাপাকসে। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতা ছাড়েন তার ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন রণিল। বুধবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হয়। এতে ১৩৪ ভোট পেয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রণিল বিক্রমাসিংহে।
তবে এ খবর বাইরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তারা মনে করছেন, তাদের মাসের পর মাস ধরে চলা আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। যদিও কিছুটা পরিবর্তন আসছে তাদের দাবিতে। তারা এবার সরাসরি সংবিধান পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হ্রাসের কথাও বলছে বিক্ষোভকারীরা। এক বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবিও রয়েছে তাদের। এসব দাবি না মানলে সেই আগের মতো অস্থির অবস্থা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে আন্দোলনকারীরা দখল করে নেয়া সরকারি ভবনগুলো ফেরত দিয়েছে। এখন তারা বলছেন, শেষ পর্যন্ত রণিলের হাতেই ক্ষমতা এটা তারা মানতে পারছেন না। গোটাবাইয়াকে সরাতে তারা সফল হলেও আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থই হলো। তারা চান, একটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচন করা হোক।