পিকআপে পার হচ্ছেন বাইক আরোহীরা

বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার তৃতীয় দিনে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল থেকে সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে যানবাহনের তেমন ভিড় নেই। তবে আজও পদ্মা সেতু পার হতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহীরা। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সকালে টোলপ্লাজা থেকে বাইক আরোহীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। ওদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তারা। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিকআপে করে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে বাইক আরোহীদের সেতু পারাপারের অনুমতি দেয়া হয়।

জাজিরা প্রান্তে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টোলপ্লাজায় যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক। যানবাহনের কোন চাপ নেই। নির্বিঘ্নে পার হচ্ছে গাড়িগুলো। তবে সকাল থেকে বাইক আরোহীদের পিকআপে করে পার হতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তাদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দুপুর সাড়ে ১২টার অনুমতি দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।

টোলপ্লাজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পিকআপে তোলা হচ্ছে মোটরসাইকেলগুলো। তারপর পিকআপ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে সেতু পার হচ্ছেন তারা। বাইক আরোহীদের গুণতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা অতিরিক্ত পিকআপ ভাড়া।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন জানান, সকাল থেকে খুব স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। সেতুর মাওয়া প্রান্তে কোনো চাপ নেই। গত দুদিনে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সাড়ে ১৫ হাজার যানবাহন থেকে প্রায় ২ কোটি ৫ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু যানবাহনের জন্য খুলে দেয়ার প্রথমদিনেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। সেতুতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে দুই আরোহী নিহত হন। এছাড়া সেতুতে মোটরসাইকেল থামিয়ে সেলফি তোলা, টিকটক করা ও সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খোলার ঘটনাও ঘটে। এতে আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।