৪২টি পিলার বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার ভিত: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর ৪২টি পিলার বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার ভিত। এ সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয় এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক।

শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য দেয়ার জন্য স্টেজে ওঠেন। এ সময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত এবং উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জ্বালা ছিন্ন করে প্রমত্ত পদ্মার বুকে আজ বহু কাঙ্ক্ষিত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এ সেতু শুধু ইট-সিমেন্ট-স্টিল-লোহার কংক্রিটের একটি অবকাঠামো নয় এ সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ।

সরকারপ্রধান বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে, দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে তারা একটি পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। সেই যন্ত্রণা ভোগ করেছে আমার বোন, আমার ছেলে, আমার মেয়ে, আমার উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই যন্ত্রণা ভোগ করেছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত, সত্যের জয় হয়েছে।

এসময় পদ্ম সেতু নিয়ে যারা ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর প্রতি যারা সেদিন আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। যারা এখানে বসবাস করতো তারা জমি ছেড়ে দিয়েছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। যদিও তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনেক বাধা উপেক্ষা করে আজকে ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সকাল ১০টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া পয়েন্টে এ সমাবেশ শুরু হয়। এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার।

সুধি সমাবেশ শেষে মাওয়া পয়েন্টে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেবেন। পরে মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন।

প্রধানমন্ত্রী জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানেও মোনাজাতে যোগ দেবেন তিনি।

পরে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসমাবেশে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারে জাজিরা পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।