বাংলাদেশে গম রফতানির প্রস্তাব রাশিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের সঙ্গে গম ও আটার দাম বেড়ে গেছে। তাই রাশিয়ার কাছ থেকে গম আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার সংসদে জানিয়েছেন, এরইমধ্যে দুই লাখ টন গম বাংলাদেশে রফতানি করতে রাশিয়া প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া ভারত থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গম আমদানির লক্ষ্যে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এনিয়ে রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একদফা আলোচনা হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আগামী ৪ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হবে। সেখানে আরও কিছু বিষয় চূড়ান্ত হবে।

দেশে বছরে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশি জোগান ছাড়াও বেসরকারিভাবে প্রায় ৫৩ লাখ টন গম আমদানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন।

এদিকে, আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থ-বছরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মারফত খাদ্যশস্যের (চাল ও গম) মোট উৎপাদন ৩৮৬ দশমিক ৯৩ লাখ মেট্রিক টন ট্রিক টন (চাল ৩৭৬ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন ট্রিক টন ও গম ১০ দশমিক ৮৫ লাখ মেট্রিক টন ট্রিক টন) চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলিত খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের পরিমাণ ৪০১ দশমিক ৩৬ লাখ মেট্রিক টন (চাল ৩৮৯ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ১২ দশমিক ২৬ লাখ মেট্রিক টন)।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত হাউজহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে অনুসারে মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৮৭ গ্রাম (চাল ৩৬৭ দশমিক ২ গ্রাম এবং গম ১৯ দশমিক ৮ গ্রাম।

আবার দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ বিবেচনায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারিতে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৭১ দশমিক ৫৩ (প্রাক্কলিত) মিলিয়ন।

সে হিসেবে ২০২১-২২ অর্থ-বছরের দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২৪২ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন; যা অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই।