ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

মহামারি করোনার চোখ রাঙানিতে দেশের অন্যান্য অঙ্গনের মতো এলোমেলো হয়ে পড়েছিল চলচ্চিত্রাঙ্গনও। দীর্ঘ সময় ধরে দুঃসময় পার করা এ ইন্ডাস্ট্রির দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় এ সময়ে। তবে সেই নাজুক অবস্থা কাটতে শুরু করেছে। দর্শক হলমুখী হয়েছে গত ঈদ থেকে। প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা মুক্তির কারণে সরব হয়ে উঠতে শুরু করেছে এ অঙ্গন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির দেয়া তথ্যমতে, ২০২০ সালে মুক্তি পায় মাত্র ১৫ ও ২০২১ সালে ৩২টি সিনেমা। চলতি বছর প্রায় ৬ মাসেই ইতিমধ্যে ১৮টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাগুলো হলো- ‘ছিটমহল’, ‘তোর মাঝেই আমার প্রেম’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ , ‘মাফিয়া ১’, ‘মুখোশ’, ‘শিমু’, ‘গুণিন’, ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’, ‘জাল ছেঁড়ার সময়’, ‘বিদ্রোহী’, ‘গলুই’, ‘বড্ড ভালোবাসি’, ‘শান’, ‘পাপ-পুণ্য’, ‘আগামীকাল’, ‘বিক্ষোভ’, ‘তালাশ’ ও ‘অমানুষ’। চলতি সময়ের চলচ্চিত্রের অবস্থা প্রসঙ্গে গুণী পরিচালক মতিন রহমান মানবজমিনকে বলেন, নতুন সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। দর্শকও হলে আসতে শুরু করেছে।

এটা ইতিবাচক ও আনন্দের খবর। সবশেষ মুক্তি পাওয়া ‘অমানুষ’, ‘তালাশ’ ভালো যাচ্ছে। এতে করে নির্মাতারা নতুন করে সিনেমা নির্মাণ করতে উদ্বুদ্ধ হবে। সিনেমা হয়তো একটা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পাবে। মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ঈদের সিনেমা দুই-আড়াই সপ্তাহ ভালো ব্যবসা করে। ‘শান’, ‘গলুই’ সিনেমায় মোটামুটি ভালোই দর্শক হয়েছে। বৃষ্টি না হলে ‘অমানুষ’-এও দর্শক পেতাম। স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন হয়তোবা দর্শক বেশি নেই। তবে অপশন তৈরি হয়েছে ছবি দেখার। বিগত ৬ মাসের মধ্যে যে কয়টা ভালো কন্টেন্ট মুক্তি পেয়েছে তার দর্শক খারাপ হয়নি। আশা করছি সামনে করোনার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা পোষাতে পারবো আমরা।