কালুরঘাটে নতুন সেতুর ফান্ডিং চলতি বছরেই চূড়ান্ত করতে চাই : রেল সচিব

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মো.হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ‘কর্ণফুলী নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণে ফান্ডিংয়ের কাজ এই বছরের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চাই রেলওয়ে। আগামী বছরের শুরুতে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ যাতে শুরু করা যায়।’

২৭ মে, শুক্রবার বিকেল ৫টায় তিনি কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তিনি জানান, ‘কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য বুয়েটের সাথে যে চুক্তির কথা রয়েছে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তা চূড়ান্ত করার আগে বুয়েটের শর্তগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’ সচিব আরো বলেন, ‘দোহাজারী-কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত নির্মানাধীন রেল লাইন প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসকে লক্ষ্য রেখেই কাজ চলছে। তাই নতুন সেতু না হওয়া পর্যন্ত টেম্পোরায়িভাবে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’ বিট্রিশ আমলে নির্মিত মেয়াদ উত্তীর্ণ স্টিল কাঠোমোর কালুরঘাট সেতুটি বার বার সংস্কার ও তালিজোড়া দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এ সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন ও যানবাহন পারাপার হয়। এ সেতুটিকে ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর একদল গবেষক ঝুকিপুর্ণ ঘোষণা করেন। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় নতুন সড়ক কাম রেল সেতুর দাবি জানায় চট্টগ্রামবাসী। দাবির প্রেক্ষিতে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সেতু নির্মাণের আগেই কালুরঘাট সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ মহাযজ্ঞ বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ২৩ মে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন রেল ভবনে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ‘আগামী বছরের জুন মাসেই ঢাকা থেকে সাগরকন্যা কক্সবাজারে যাত্রীরা ট্রেনে করে যেতে পারবেন।’ এদিকে সচিব ড.মো. হুমায়ুন কবীর সেতু পরিদর্শন করার কথা থাকায় বৃহস্পতিবার রাত ১০ থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ সেতু বন্ধের ঘোষণায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রী সাধারণ দূর্ভোগে পড়েন।