৪ থেকে ৭ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন

সুস্থ প্রজন্ম গড়তে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) স্থায়ী ও অস্থায়ী ১ হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

সোমবার (২৩ মে) সকালে চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল হায়দার, চসিক জোনাল মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইমাম হোসেন রানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দ্বীপা ত্রিপুরা, মমতার শাহীন সুলতানা প্রমুখ।

ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী করে গড়ে তুলতে নিরলস কাজ করছে সরকার। গত ২ বছর করোনা অতিমারির কারণে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। এ বছর করোনার প্রকোপ কমে আসায় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা যা ভিটামিন এ’র অভাবে হয়। তাই সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সব ধরনের অপুষ্টি রোধে জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে।

এ অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে দেশে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার কমে আসছে এবং এ কর্মসূচি শতভাগ সফল হলে আরো কমবে।

তিনি ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।